ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং কিম জং–উন। —ফাইল চিত্র।
এ বার সোল এবং পিয়ং ইয়ঙের দীর্ঘ সাত দশকের বৈরিতা প্রশমনে উদ্যোগী ডোনাল্ড ট্রাম্প। মার্কিন প্রেসিডেন্ট জানিয়েছেন, তিনি চলতি বছরেই উত্তর কোরিয়ার একনায়ক কিম জং–উনের সঙ্গে বৈঠক করতে চান। তিনি আরও বলেছেন, দক্ষিণ কোরিয়ার সঙ্গে বাণিজ্য নিয়ে আরও আলোচনার জন্য তিনি প্রস্তুত। দক্ষিণ কোরিয়ার নতুন প্রেসিডেন্ট লি জে মিউঙের সঙ্গে সোমবার রাতে হোয়াইট হাউসে বৈঠকের পরে এ কথা জানিয়েছেন তিনি।
ওভাল অফিসে বৈঠকের পরে ট্রাম্প বলেন, ‘‘আমি কিমের সঙ্গে এ বছরই বৈঠক করব। সাক্ষাতের অপেক্ষায় রয়েছি। ওঁর সঙ্গে আমার সম্পর্ক খুবই ভাল।’’ ট্রাম্পের ওই মন্তব্যের পরেই দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট লি বলেন, ‘‘দুই কোরিয়ার মধ্যে শান্তি ফেরাতে পারেন এক মাত্র ট্রাম্পই।’’ এর আগে মার্কিন প্রেসিডেন্ট পদে প্রথম মেয়াদে কিমের সঙ্গে তিন বার ট্রাম্পের বৈঠক হয়েছিল। তবুও ওয়াশিংটন-পিয়ং ইয়ং সম্পর্ক মসৃণ হয়নি।
আমেরিকার প্রেসিডেন্ট পদে প্রথম মেয়াদে ২০১৮ সালের ১২ জুন সিঙ্গাপুরে প্রথম বার কিমের মুখোমুখি হয়েছিলেন ট্রাম্প। তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে সেই বৈঠকের পরে কয়েক মাস উত্তর কোরিয়া আর কোনও নতুন ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা করেনি। যদিও সোমবার রাতে ট্রাম্পের ওই মন্তব্যের পরে কিমের সরকার ইতিবাচক কোনও প্রতিক্রিয়া জানায়নি। সে দেশের সরকারি সংবাদমাধ্যম অভিযোগ করেছে, ওয়াশিংটন কোরীয় উপদ্বীপের নিয়ন্ত্রণ নিতে চায়। প্রসঙ্গত, গত জানুয়ারিতে মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে দ্বিতীয় মেয়াদে দায়িত্ব নেওয়ার পরে ট্রাম্প কূটনৈতিক যোগাযোগ পুনর্স্থাপনের বার্তা দিয়েছিলেন উত্তর কোরিয়াকে। কিন্তু কিম তাতে সাড়া দেননি।