Donald Trump on Greenland

‘যে করেই হোক, গ্রিনল্যান্ড আমরা নেবই’, দাবি ট্রাম্পের, দিলেন একগুচ্ছ প্রতিশ্রুতিও, ক্ষুব্ধ ডেনমার্ক কী বলল

এক সপ্তাহ পরেই গ্রিনল্যান্ডে সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। ট্রাম্প জানিয়েছেন, যে কোনও পন্থাতেই হোক, তিনি গ্রিনল্যান্ডকে আমেরিকার অন্তর্ভুক্ত করতে বদ্ধপরিকর।

Advertisement

আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক

শেষ আপডেট: ০৫ মার্চ ২০২৫ ১৮:০৩
Share:

গ্রিনল্যান্ডকে আমেরিকার অন্তর্ভুক্ত করতে চান ডোনাল্ড ট্রাম্প। গ্রাফিক: আনন্দবাজার অনলাইন।

গ্রিনল্যান্ড আমেরিকার অন্তর্ভুক্ত হবেই, আবার দাবি করলেন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। গ্রিনল্যান্ডের মানুষকে একাধিক প্রতিশ্রুতিও দিয়েছেন তিনি। সামনেই গ্রিনল্যান্ডে সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। আমেরিকাকে আপন করে নিতে গ্রিনল্যান্ডবাসীকে আহ্বান জানিয়েছেন ট্রাম্প। তবে সেই সঙ্গে এ-ও জানিয়ে রেখেছেন, যে করেই হোক, তিনি গ্রিনল্যান্ডকে আমেরিকার অন্তর্ভুক্ত করবেনই। এক পদ্ধতিতে না হলে অন্য পন্থা অবলম্বন করবেন। ট্রাম্পের এই দাবি শুনে ক্ষুব্ধ ডেনমার্ক। তারা জানিয়েছে, কোনও ভাবেই ট্রাম্পের আশা পূরণ হবে না।

Advertisement

এক সপ্তাহ পরেই গ্রিনল্যান্ডে সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। সেখানকার মানুষের উদ্দেশে ট্রাম্প বলেন, ‘‘আপনারা নিজেদের ভবিষ্যৎ নিজেরাই নির্বাচন করুন। আপনাদের এই অধিকারকে আমি পূর্ণ সমর্থন করি। যদি আপনারা আমাদের বেছে নেন, আমেরিকায় আপনারা স্বাগত। আমরা আপনাদের পর্যাপ্ত নিরাপত্তা দেব। আপনারা ধনী হবেন এবং সর্বোপরি, আমরা একসঙ্গে মিলে গ্রিনল্যান্ডকে এমন একটি জায়গায় নিয়ে যাব, যা আগে কখনও কল্পনাও করা যায়নি।’’

ডেনমার্কের প্রতিরক্ষামন্ত্রী টিএল পলসেন জানিয়েছেন, ট্রাম্প যা চাইছেন, তা কোনও দিন হবে না। তাঁর কথায়, ‘‘গ্রিনল্যান্ড কোন দিকে যাবে, তা গ্রিনল্যান্ডের মানুষই ঠিক করবেন।’’

Advertisement

গ্রিনল্যান্ড উত্তর আমেরিকা মহাদেশের মধ্যে থাকলেও তা আমেরিকার অন্তর্ভুক্ত নয়। এটি একটি আধা স্বশাসিত দ্বীপ। গ্রিনল্যান্ডের উপর ইউরোপের ডেনমার্কের নিয়ন্ত্রণ প্রায় সর্বজনবিদিত। কিন্তু তা আমেরিকার অন্তর্ভুক্ত করতে আগ্রহী ট্রাম্প। দ্বিতীয় বার প্রেসিডেন্ট হওয়ার আগে থেকেই তিনি জানিয়ে আসছেন, গ্রিনল্যান্ডকে আমেরিকার অন্তর্ভুক্ত করা হবে। বিশ্বজনীন নিরাপত্তা এবং স্বাধীনতার স্বার্থে গ্রিনল্যান্ডের মালিকানা এবং নিয়ন্ত্রণ আমেরিকার হাতে থাকা জরুরি বলে মনে করেন ট্রাম্প।

ইতিমধ্যে এ বিষয়ে ডেনমার্কের প্রধানমন্ত্রী মেটে ফ্রেডেরিকসেনের সঙ্গে কথা হয়েছে ট্রাম্পের। প্রায় ৪৫ মিনিটের সেই ফোনালাপে ট্রাম্প অনেক ‘হম্বিতম্বি’ করেছেন বলে অভিযোগ। নেটোর অধীনে আমেরিকা এবং ডেনমার্ক মিত্র দেশ। গ্রিনল্যান্ডকে কেন্দ্র করে এই দুই দেশের মধ্যে সংঘাতের পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। ক্ষমতায় আসার পর থেকে একাধিক আচরণে ট্রাম্প বুঝিয়ে দিয়েছেন, ইউরোপের মিত্র দেশগুলির প্রতি তিনি খুব বেশি ধৈর্যশীল হবেন না। ফলে গ্রিনল্যান্ড প্রসঙ্গে ডেনমার্ককে সতর্ক থাকতে হবে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement
Advertisement