(বাঁ দিকে) জো বাইডেন এবং ডোনাল্ড ট্রাম্প (ডান দিকে)। —ফাইল ছবি।
আমেরিকায় কর্মরত অভিবাসীদের চিন্তা বাড়াল ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসন। এ বার থেকে সে দেশে কাজ করার জন্য প্রয়োজনীয় তথ্য (ওয়ার্ক পারমিট ডকুমেন্ট) স্বয়ংক্রিয় ভাবে পুনর্নবীকরণ হবে না! এমনই জানাল আমেরিকার স্বরাষ্ট্র দফতর (হোমল্যান্ড সিকিউরিটি)। অনেকের মতে, ট্রাম্প প্রশাসনের এই পদক্ষেপ আমেরিকায় কর্মরত বহু বিদেশি কর্মীদের সমস্যার কারণ হতে পারে। বিশেষত ভারতীয়দের কাছে ‘হুমকি’-র কারণও বটে।
মার্কিন প্রশাসন এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, যাঁরা ৩০ অক্টোবর ২০২৫ বা তার পরে তাঁদের কর্মসংস্থান অনুমোদিত নথি (ইএডি) পুনর্নবীকরণের জন্য আবেদন করবেন, তাঁদের নথির স্বয়ংক্রিয় ভাবে মেয়াদ বৃদ্ধি হবে না। বৃহস্পতিবার থেকেই আমেরিকায় কর্মরত অভিবাসীদের জন্য এই নয়া নিয়ম কার্যকর হবে।
কেন নতুন নিয়মটি কার্যকর করল ট্রাম্প প্রশাসন? কারণ ব্যাখ্যা করতে গিয়ে তারা জানিয়েছে, আমেরিকায় থাকা মানুষদের নিরাপত্তা এবং জাতীয় নিরাপত্তা— এই দুই রক্ষার জন্য যাচাই-বাছাইকে অগ্রাধিকার দিতেই অভিবাসীদের জন্য নতুন নিয়ম কার্যকর করা হচ্ছে। জো বাইডেন সরকার আমেরিকায় কর্মরত অভিবাসীদের জন্য স্বয়ংক্রিয় ভাবে ইএডি পুনর্নবীকরণের সুবিধা এনেছিল। সেই সময় জানানো হয়েছিল, ‘ওয়ার্ক পারমিট’-এর মেয়াদ শেষ হওয়ার পরেও অভিবাসীরা আমেরিকায় কাজ করতে পারবেন, যদি তাঁরা সময়মতো নথি পুনর্নবীকরণের জন্য আবেদন করে থাকেন। তবে এ বার থেকে বাইডেন সরকারের সেই নিয়মে কাটছাঁট করল ট্রাম্প প্রশাসন।
আমেরিকায় অভিবাসী কর্মীদের সম্পর্কে প্রয়োজনীয় তথ্য বা তাঁরা কোনও অপরাধমূলক কাজের সঙ্গে যুক্ত কি না, তা যাচাই করা প্রয়োজনীয়! বার বার এমনই দাবি করেছে ট্রাম্প প্রশাসন। তার জন্য বেশ কিছু পদক্ষেপও করেছে তারা। কঠোর করেছে আমেরিকার ভিসানীতি। শুধু তা-ই নয়, আমেরিকায় কর্মরত অভিবাসীদের সমাজমাধ্যমের অ্যাকাউন্টকেও রাখা হয়েছে আতশকাচের নীচে। সংশ্লিষ্ট কর্মীর বিরুদ্ধে কোনও রকম অভিযোগ উঠলে, তা গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করা হবে।
মার্কিন প্রশাসনের পরামর্শ, ‘ওয়ার্ক পারমিট’-এর মেয়াদ শেষ হওয়ার অন্তত ১৮০ দিন আগে পুনর্নবীকরণে জন্য আবেদন করুন। প্রশাসন যাতে সংশ্লিষ্ট ওই অভিবাসী কর্মীর যাবতীয় তথ্য যাচাই করতে পারে, তার জন্য সময় দেওয়ার প্রয়োজন। যত দেরিতে আবেদন করা হবে, তত সমস্যায় পড়তে পারেন আমেরিকায় কর্মরত বিদেশিরা।