Taliban 2.0

Taliban Spokesman : ভূতের মতো আমেরিকার সেনার পিছু পিছু ঘুরেছি, তাও ধরতে পারেনি: তালিবান মুখপাত্র

মুজাহিদ জানান, উত্তর-পশ্চিম পাকিস্তানের নওসেরায় হাক্কানিয়া সেমিনারিতে পড়াশোনা করেছেন তিনি। যা তালিবান বিশ্ববিদ্যালয় নামে পরিচিত।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

কাবুল শেষ আপডেট: ১২ সেপ্টেম্বর ২০২১ ২২:৪৫
Share:

বিস্ফোরক দাবি তালিবান মুখপাত্রের —ছবি সংগৃহীত।

যুদ্ধের সময়ে কাবুলে আমেরিকা ও আফগান সেনার চোখে ধুলো দিয়ে তাদের নাকের ডগায় ছিলেন তিনি। তাও কিছুই করতে পারেনি তারা। প্রায় এক দশক পর সাংবাদিক বৈঠক করে এ কথা জানালেন তালিবান মুখপাত্র জাবিউল্লা মুজাহিদ। তাঁর কথায়, ‘‘ক্রমাগত চেষ্টা পরও ধরতে না পেরে আমায় ওরা ভূত ভাবতে শুরু করেছিল। ভেবেছিল মুজাহিদ নামে হয়তো কেউ নেই। কিন্তু কাবুলে গোটা সময় ধরে ছায়ার মতো ওদের পিছনেই ছিলাম।’’
মুজাহিদ জানান, উত্তর-পশ্চিম পাকিস্তানের নওসেরায় হাক্কানিয়া সেমিনারিতে পড়াশোনা করেছেন তিনি। ওই প্রতিষ্ঠান গোটা বিশ্বে তালিবান বিশ্ববিদ্যালয় নামেই পরিচিত। অনেকে আবার জেহাদের বিশ্ববিদ্যালয় বলেও অভিহিত করেন। শুধু তিনিই নন, আফগানিস্তানের কার্যনির্বাহী তালিবান সরকারের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সিরাজউদ্দিন হক্কানি থেকে শুরু করে জল ও বিদ্যুৎ মন্ত্রী মোল্লা আবদুল লতিফ মনসুর, টেলিকম মন্ত্রী নাজিবুল্লা হক্কানি, শিক্ষামন্ত্রী মৌলানা আব্দুল বাকি হক্কানি প্রত্যেকেই ওই প্রতিষ্ঠানে পড়াশোনা করেছেন বলে জানান তিনি।

Advertisement

আমেরিকার সেনা আফগানিস্তান আক্রমণ করার পরও কাবুলে থেকেই তিনি সংগঠনের কাজ করে গিয়েছেন বলে দাবি করলেন। তিনি বলেন, ‘‘আমাকে ধরার জন্য বহু তল্লাশি চালিয়েছে ওরা। প্রত্যেক বার আমিও ওদের চোখের সামনে থেকে পালিয়েছি। গোটা আফগানিস্তান ঘুরেছি। সব সময়ে সামনের সারির নেতাদের সঙ্গে যোগাযোগে ছিলাম। তাদের পাকা খবর দিতাম। একটা সময়ে আমেরিকান সেনা ধারণা হয়েছিল, মুজাহিদ নামে কোনও এক জন নয়, একাধিক ব্যক্তি রয়েছে।’’

তাঁর খোঁজ পেতে স্থানীয়দের প্রচুর টাকা দিয়েছিল আমেরিকা সেনা। প্রচুর চর নিয়োগ করা সত্ত্বেও তাঁকে ধরতে পারেনি বলেই দাবি করলেন জাবিউল্লা। তিনি বলেন, ‘‘কোনও দিন আফগানিস্তান ছাড়ার চেষ্টা করিনি। এমনকি আফগানিস্তান ছেড়ে অন্য কোথাও যাওয়ার কথা ভাবিওনি।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন