International News

চুরির দায়ে কেন ধরা হল? অ্যাপলের বিরুদ্ধে মামলা ঠুকল ১৮ বছরের ছেলে

হয়েছিলটা কী? অভিযোগ, অ্যাপলের ফেসিয়াল রেকগনিশন সফটওয়্যারের ভুলভ্রান্তির জন্য গত নভেম্বরে যারপরনাই হেনস্থা হতে হয়েছিল নিউ ইয়র্কের একটি হাইস্কুলের ছাত্র আউসমান বাহকে। অ্যাপল স্টোর থেকে জিনিস চুরির অভিযোগে ১৮ বছর বয়সী আউসমানকে তার বাড়ি থেকে গ্রেফতার করা হয়েছিল।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

নিউ ইয়র্ক শেষ আপডেট: ২৩ এপ্রিল ২০১৯ ১৭:১৭
Share:

অ্যাপল স্টোর। ছবি- টুইটারের সৌজন্যে।

প্রশ্নটা যখন আত্মমর্যাদার, তখন কাউকেই ডরাই না! এই মনোভাব নিয়েই অ্যাপলের মতো একটি বহুজাতিক সংস্থার বিরুদ্ধে মামলা ঠুকে দিল একটি ১৮ বছরের ছেলে। আর তা খুব ছোটখাটো মামলা নয়। চেয়ে বসল ১০০ কোটি ডলার ক্ষতিপূরণ। ভারতীয় মুদ্রায় যা প্রায় ৭ হাজার কোটি টাকা।

Advertisement

হয়েছিলটা কী? অভিযোগ, অ্যাপলের ফেসিয়াল রেকগনিশন সফটওয়্যারের ভুলভ্রান্তির জন্য গত নভেম্বরে যারপরনাই হেনস্থা হতে হয়েছিল নিউ ইয়র্কের একটি হাইস্কুলের ছাত্র আউসমান বাহকে। অ্যাপল স্টোর থেকে জিনিস চুরির অভিযোগে ১৮ বছর বয়সী আউসমানকে তার বাড়ি থেকে গ্রেফতার করা হয়েছিল।

সোমবার আউসমানের কৌসুঁলি আদালতে জানিয়েছেন, গ্রেফতারি পরোয়ানার সঙ্গে যার ছবি জুড়ে দেওয়া হয়েছিল, তার সঙ্গে মুখের কোনও মিল নেই নিউ ইয়র্কের ওই ছাত্রের। শুধু তাই নয়, বস্টনের অ্যাপল স্টোর থেকে জিনিস চুরির অভিযোগ ছিল আউসম্যানের বিরুদ্ধে। অথচ, গত বছরের জুনে যে দিন বস্টনের অ্যাপল স্টোরে চুরি ঘটনা ঘটেছিল, সে দিন নিউ ইয়র্কের ম্যানহাটনে তার স্কুলের একটি নাচগানের অনুষ্ঠানে ছিল আউসম্যান।

Advertisement

আরও পড়ুন- অ্যাপল কর্তাকে ভুল নামে ডেকে ফের হাসির খোরাক ডোনাল্ড ট্রাম্প​

আরও পড়ুন- আন্তর্জাতিক সম্মেলনের মুখে মাসুদ আজহারের ফাইল বেজিংয়ের হাতে তুলে দিল দিল্লি​

আউসম্যান জানিয়েছে, ফোটোগ্রাফ ছাড়া তার একটি আইডেন্টিটি কার্ড ছিল অ্যাপলের। যাকে বলা হয়, 'লার্নার্স পারমিট'। সেটা কিছু দিন আগে আউসম্যান নাকি হারিয়ে ফেলেছিল। বস্টনের অ্যাপল স্টোরে যে চুরিটা করেছিল, সে সম্ভবত আউসম্যানের হারানো 'লার্নার্স পারমিট' নিয়েই ঢুকে পড়েছিল অ্যাপল স্টোরে।

আউসম্যানের অভিযোগ, ওই ঘটনায় তাকে যথেষ্ট হেনস্থা হতে হয়েছে। তাই সে দাবি করেছে ওই বিপুল অঙ্কের ক্ষতিপূরণ।

অ্যাপল স্টোরগুলিতে ঢুকে পড়ে কেউ কোনও জিনিস চুরি করে পালিয়ে গেলে, ওই সফটওয়্যারে থাকা ফোটোগ্রাফের সঙ্গে মিলিয়ে দেখা হয় সন্দেহভাজন অপরাধীর মুখ। অ্যাপল স্টোরগুলিতে ল্যাপটপ, ট্যাবের মতো কিছু খুলতে চাইলেই যে কেউ তা খুলতে পারেন না। প্রত্যেকটি জিনিসেই রয়েছে ফেসিয়াল রেকগনিশন সিস্টেমের ব্যবস্থা। যার জিনিস, তার মুখ চিনতে পারলেই ওই জিনিসটি খুলবে। না চিনতে পারলে খুলবে না।

আউসম্যানের বক্তব্যের প্রেক্ষিতে অ্যাপলের তরফে অবশ্য কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন