নেপালে ফের প্রতিবাদে রাস্তায় নামলেন তরুণ প্রজন্ম (জ়েন জি)-এর প্রতিনিধিরা। —ফাইল চিত্র।
নেপালে ফের প্রতিবাদে রাস্তায় নামলেন ছাত্র-যুবরা, ইদানীং যাঁদের পরিচিতি ‘জেন জ়ি’ নামেই। গত কয়েক দিন ধরেই নেপালের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী কেপি শর্মা ওলির দল কমিউনিস্ট পার্টি অফ নেপাল-এর (ইউএমএল) নেতা-কর্মীদের সঙ্গে খণ্ডযুদ্ধ চলছিল জেন জ়ি বিক্ষোভকারীদের। বৃহস্পতিবার বেলার দিকে নেপালের বরা জেলার সিমারায় সমবেত হয়ে বিক্ষোভ দেখান তাঁরা।
বিক্ষোভ হটাতে কাঁদানে গ্যাস ব্যবহার করে পুলিশ। সিমারা এবং সংলগ্ন এলাকায় কার্ফু জারি করা হয়। দুপুর ১২টা ৪৫ থেকে জারি হওয়া এই কার্ফু সন্ধ্যা ৮টা অবধি বলবৎ থাকবে বলে জানিয়েছে প্রশাসন।
স্থানীয় সংবাদমাধ্যমগুলির প্রতিবেদন অনুসারে, ঘটনার সূত্রপাত বুধবার। ওই দিন একটি দলীয় কর্মসূচিতে যোগ দিতে বিমানে কাঠমান্ডু থেকে সিমারা যান ওলির দলের দুই নেতা মহেশ বসনেট এবং শঙ্কর পোখারেল। তার আগের দিনই ওলির দলকে ‘খুনিদের সরকার’ বলে কটাক্ষ করে সমাজমাধ্যমে প্রতিবাদ কর্মসূচির ডাক দিয়েছিলেন জেন জ়ি-দের জেলা সমন্বয়ক সম্রাট উপাধ্যায়। দুই ইউএমএল নেতা বিমানবন্দরে নামতেই বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন জেন জ়ি প্রতিবাদীরা। তার পরেই ইউএমএল নেতা-কর্মীদের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন তাঁরা। তাতে আহত হন জেন জ়ি-দের ছ’জন।
বুধবারের সংঘর্ষের পর ছয় ইউএমএল নেতার বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করেছিলেন ছাত্র-যুবরা। কিন্তু পুলিশ তাঁদের কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি বলে অভিযোগ। তার প্রতিবাদেই বুধবার সিমারায় পুনরায় বিক্ষোভ শুরু হয়। পুলিশ বিক্ষোভ থামাতে গেলে পরিস্থিতি আরও উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। কিছু ক্ষণের জন্য সিমারা বিমানবন্দরে বিমান চলাচলও বন্ধ রাখা হয়।
গত সেপ্টেম্বর মাসে তরুণ প্রজন্মের (জেন জ়ি) বিক্ষোভের জেরে নেপালে পতন হয় কেপি শর্মা ওলির সরকারের। ওই গণবিক্ষোভের দু’মাস কাটতে না কাটতেই ভোটের দিনক্ষণ জানিয়ে দিয়েছে নেপালের নির্বাচন কমিশন। আগামী ৫ মার্চ নেপালে নির্বাচন হবে। জানুয়ারি মাসে হয়ে যাবে মনোনয়নপর্ব। ভোটের আগে সংগঠনকে চাঙ্গা করতে একাধিক কর্মসূচির ডাক দিয়েছে ওলির দল।