প্রতীকী চিত্র।
সংখ্যালঘু হান জনগোষ্ঠীর লং শি ঝং ভালবেসে বিয়ে করতে চেয়েছিলেন সংখ্যাগুরু তিব্বতি মেয়ে বা সাং কে বা-কে। কিন্তু দুই সম্প্রদায়ের গোষ্ঠীপতিদের বাধা। তিব্বতের শিগাৎসে শহরে তার আগে এমন বিয়ে হয়নি বলে চিন সরকারও এগোতে পারছিল না। কিন্তু হাল ছাড়েননি লং আর বা। বছরের পর বছর অপেক্ষার পরে অবশেষে ২০১৫-য় সরকারি ছাড়পত্র পেয়ে যখন চার হাত এক হল, দু’জনের বয়সই পঞ্চাশ ছুঁই ছুঁই।
চার বছর পরে এই যুগল এখন তিব্বতের সেলিব্রিটি। লং আর বা-য়ের ছবি ঝোলে কমিউনিটি সেন্টারগুলির দেওয়ালে। তাঁদের এই লড়াইয়ে উদ্বুদ্ধ হয়ে গত চার বছরে আরও অন্তত ৪০টি যুগল বিয়ের পিঁড়িতে বসেছেন, যাঁদের কেউ তিব্বতি কেউ হান। চিনও দুই সম্প্রদায়ের ছেলেমেয়েদের মধ্যে এই বিয়েকে উৎসাহ জোগাচ্ছে, যা নিয়ে তিব্বতিরা সমালোচনায় সরব হয়েছেন। কিন্তু চিন সরকারের অফিসারদের যুক্তি, কাউকে তো জোর করে তাঁরা বিয়ে দিচ্ছেন না! দুই সম্প্রদায়ের মধ্যে বিয়ে হলে, যোগাযোগ বাড়ে। আর সরকারের এই উৎসাহ কর্মসূচিতে তুলে ধরা হচ্ছে লং-বা যুগলকে।
চিন সরকার ১৯৫০-এ তিব্বতে সেনা পাঠানোর পর থেকেই চিনের সঙ্গে তিব্বতিদের সংঘাতের শুরু। ১৯৫৯-এ তিব্বতের ধর্মীয় শাসক দলাই লামা ভারতে পালিয়ে আসেন। তিব্বতকে তাদের দেশের মধ্যেই স্বশাসিত অঞ্চল হিসেবে ঘোষণা করে বেজিং। অভিযোগ, তার পর থেকে হান-এর মতো অন্য জনগোষ্ঠীর মানুষকে তিব্বতে বসতি গড়তে দিয়ে সেখানকার জাতিগত আধিপত্য নষ্ট করার কৌশল নিয়ে চলেছে চিন। তবে চিনের এক অফিসার সে অভিযোগ উড়িয়ে দিয়ে জানাচ্ছেন, এখানকার ৯২% মানুষ তিব্বতি। হান ও অন্য জনগোষ্ঠী জনসংখ্যার মাত্র ৮%। কিন্তু জনগোষ্ঠীগুলির মধ্যে আদানপ্রদান শুরু হলে পারস্পরিক আস্থা বাড়ে। সেই জন্যই জনগোষ্ঠীগুলির মধ্যে বিয়েকে উৎসাহ দেওয়া।