তুষারপাত এবং বৃষ্টির জন্য গাড়িচালকদের বিশেষ ভাবে সতর্ক করেছে প্রশাসন। ছবি: সংগৃহীত।
ইউরোপ জুড়ে ভারী তুষারপাত অব্যাহত। বরফবৃষ্টিতে বিপর্যস্ত জনজীবন। শুক্রবার থেকে পশ্চিম বলকান অঞ্চল জুড়ে হাজার হাজার বাড়ি বিদ্যুৎবিহীন। কয়েক হাজার মানুষ পড়েছেন আতান্তরে।
চলতি সপ্তাহে সার্বিয়া এবং বসনিয়ার পাহাড়ি এবং পার্বত্য অঞ্চলগুলিতে ভারী তুষারপাত হয়েছে। তার ফলে একের পর এক গাছ ভেঙেছে। বিদ্যুতের লাইন বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। নিম্নাঞ্চলে অবিরাম বৃষ্টিতে বন্যা এবং ধস নামা শুরু হয়েছে। বিভিন্ন জায়গায় পানীয় জলের সমস্যা শুরু হয়েছে। টেলিফোন এবং মোবাইল পরিষেবায় বিঘ্ন ঘটেছে। সার্বিয়ার বেশ কয়েক’টি পুরসভায় তুষারপাতের ফলে জরুরি ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হয়েছে। শুক্রবার তুষারপাতের কারণে বসনিয়ায় বেশ কয়েক’টি রাস্তা বন্ধ ছিল। গাড়িচালকদের অতিরিক্ত সতর্ক থাকতে পরামর্শ দিয়েছে প্রশাসন। তা ছাড়া স্কটল্যান্ড এবং উত্তর আয়ারল্যান্ডের বেশিরভাগ অংশে হলুদ সতর্কতা জারি করা হয়েছে। সেখানকার হাওয়া অফিসের পূর্বাভাস, আরও কিছু দিন এই দুর্যোগ চলবে।
তুষারপাতের প্রভাব পুড়েছে ব্রিটেন এবং জার্মানিতেও। পরিস্থিতি এমনই যে, মাঝেমধ্যেই বিমান চলাচল বন্ধ থাকছে। লিভারপুলের বিমানবন্দর বরফবৃষ্টিতে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, ইংল্যান্ডের উত্তরাঞ্চলের বেশ কিছু গ্রামীণ এলাকার সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হয়েছে। সড়ক এবং রেলপথ, উভয়ই বিপর্যস্ত। স্কটল্যান্ড, উত্তর আয়ারল্যান্ড, ওয়েলস্ এবং ইংল্যান্ডের পূর্বাঞ্চলে তুষারপাত চলবে পূর্বাভাস আবহাওয়া দফতরের। শুক্রবার তুষারঝড়ের কারণে লিভারপুলের জন লেনন বিমানবন্দর, ম্যানচেস্টার বিমানবন্দর, বার্মিংহাম বিমানবন্দর, লিডস ব্রাডফোর্ড বিমানবন্দরে বিমান ওঠানামা সাময়িক বন্ধ করা হয়।
আবহবিদেরা জানিয়েছেন, ইউরোপের প্রায় ৬ কোটি মানুষ এই প্রাকৃতিক বিপর্যয়ে ভুক্তভোগী। আগামী সোমবার বেশ কিছু জায়গায় শীতকালীন ঝড়ের আভাস রয়েছে। কেনটাকি, ভার্জিনিয়ায় থেকে মিসিসিপি, ফ্লোরিডা, সর্বত্রই একই পরিস্থিতি। অনেকের মত, গত ১০ বছরে এমন ভারী তুষারপাত হয়নি।