ইয়েমেনের রাজধানী সানায় ইজ়রায়েলি হানায় নিহত আহমেদ গালিব আল-রাহি। —ফাইল চিত্র।
ইয়েমেনের রাজধানী সানায় ইজ়রায়েলি হানায় মৃত্যু হয়েছে হুথি প্রধানমন্ত্রী আহমেদ গালিব আল-রাহির। মৃত্যু হয়েছে আরও বেশ কয়েক জন মন্ত্রীরও। শনিবার এক বিবৃতি প্রকাশ করে নেতাদের মৃত্যুর কথা স্বীকার করে নিল ইরান-সমর্থিত এই বিদ্রোহী গোষ্ঠী। ইজ়রায়েল শুক্রবারই দাবি করেছিল, তারা হুথি প্রধানমন্ত্রীকে হত্যা করেছে। তবে পশ্চিম এশিয়ার ইয়েমেনের এই সশস্ত্র শিয়া গোষ্ঠী এ বিষয়ে কোনও মন্তব্য করছিল না। এ বার হুথিদের সর্বোচ্চ রাজনৈতিক শাখার প্রধান মেহদি আল-মুশাত এক বিবৃতিতে জানালেন, সানায় ইজ়রায়েলি হানায় মৃত্যু হয়েছে তাঁদের প্রধানমন্ত্রীর।
ইরান সমর্থিত হুথি গোষ্ঠী দীর্ঘদিন ধরেই ইজ়রায়েলের সামরিক ভাবে চাপে রাখার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। ২০২৩-এর ৭ অক্টোবর গাজ়া ভূখণ্ডে সশস্ত্র প্যালেস্টাইনি গোষ্ঠী হামাসের বিরুদ্ধে ইজ়রায়েলি সেনার অভিযান শুরুর পরে হুথি বাহিনী ব্যালিস্টিক এবং ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়েছিল তেল আভিভে! এর পরে পশ্চিম এশিয়ায় মোতায়েন মার্কিন সেনার সেন্ট্রাল কমান্ড (সেন্টিকম) হুথির বিরুদ্ধে অভিযান চালায়।
সৌদি আরবের মদতপুষ্ট ইয়েমেনের সুন্নি মুসলিম গোষ্ঠীর সরকারও শিয়া বিদ্রোহী গোষ্ঠী হুথিদের বিরুদ্ধে গত কয়েক বছর ধরে ধারাবাহিক অভিযান চালাচ্ছে। কিন্তু রাজধানী সানার উত্তরের বিভিন্ন অংশ-সহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চল এখনও হুথি বাহিনীর নিয়ন্ত্রণে। সেখানে হুথি গোষ্ঠীর নিজস্ব সরকারও রয়েছে। শুক্রবারের ইজ়রায়েলি হানায় সেই হুথি সরকারের প্রধানমন্ত্রীর।
গত বৃহস্পতিবার সকালে বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর ইজ়রায়েল সরকার অভিযোগ করেছিল, ইয়েমেনের মাটি থেকে থেকে ড্রোন হামলা হয়েছে ইজ়রায়েলের উপর। তার কয়েক ঘণ্টা পরেই ইয়েমেনের হুথি নিয়ন্ত্রিত এলাকায় ‘প্রত্যাঘাত’ শুরু করে তারা। প্রায় এক বছর আগে হুথি সরকারের প্রধানমন্ত্রী হিসাবে দায়িত্ব নেন রাহি। তবে শুধু খাতায় কলমেই তিনি হুথি সরকারের প্রধানমন্ত্রী ছিলেন। হুথি নেতৃত্বের ঘনিষ্ঠ বৃত্তের মধ্যে ছিলেন না তিনি। হুথি প্রশাসন মূলত নিয়ন্ত্রণ করতেন তাঁর সহকারী মোহাম্মদ মোফতাহ। রাহির মৃত্যুর পরে তাঁকেই নতুন প্রধানমন্ত্রী হিসাবে বেছে নিয়েছে হুথি গোষ্ঠী।