UNHRC

উইঘুরদের ‘দমনপীড়ন’! চিনের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপুঞ্জে আনা প্রস্তাবে ভোটদানে বিরত থাকল ভারত

বিভিন্ন মানবাধিকার সংগঠন দীর্ঘ দিন ধরে উইঘুর সম্প্রদায়ের উপর চিনের ‘দমনমূলক’ ভূমিকা নিয়ে সরব। অভিযোগ, শিক্ষা শিবির চালানোর নামে ১০ লক্ষ উইঘুরকে জোর করে কার্যত বন্দি করে রাখা হয়েছে।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

জেনিভা শেষ আপডেট: ০৭ অক্টোবর ২০২২ ১২:২৩
Share:

চিনের বিরুদ্ধে ভোটদানে বিরত থাকল ভারত। প্রতীকী ছবি।

রাষ্ট্রপুঞ্জের মানবাধিকার পরিষদে চিনের বিরুদ্ধে প্রস্তাবে ভোটদানে বিরত থাকল ভারত। উত্তর-পশ্চিম চিনের শিনজিয়াং প্রদেশে উইঘুর সম্প্রদায়ের মানবাধিকার লঙ্ঘনের প্রশ্নে বিতর্ক এবং ভোটাভুটি হল রাষ্ট্রপুঞ্জে। চিনের বিরুদ্ধে খসড়া প্রস্তাব তৈরি করেছিল পরিষদের কোর সদস্য কানাডা, ডেনমার্ক, ফিনল্যান্ড, আইসল্যান্ড, নরওয়ে, সুইডেন, ব্রিটেন এবং আমেরিকা। সঙ্গে ছিল তুরস্কও।

Advertisement

পরিষদের ৪৭ সদস্য দেশের মধ্যে ১৭টি সদস্য দেশ সেই প্রস্তাবের পক্ষে ভোট দিয়েছে। প্রস্তাবের বিপক্ষে ভোট দিয়েছে চিন-সহ ১৯টি দেশ। ভোটদান থেকে বিরত থেকেছে ভারত, ব্রাজিল, মেক্সিকো এবং ইউক্রেন-সহ ১১টি দেশ।

বিভিন্ন মানবাধিকার সংগঠন দীর্ঘ দিন ধরে উইঘুর সম্প্রদায়ের উপর চিনের ‘দমনমূলক’ ভূমিকা নিয়ে সরব। অভিযোগ, শিক্ষা শিবির চালানোর নামে ১০ লক্ষ উইঘুরকে জোর করে কার্যত বন্দি করে রাখা হয়েছে। বলপূর্বক বদলে দেওয়ার চেষ্টা হচ্ছে সম্প্রদায়ের নিজস্ব বিশ্বাস।

Advertisement

কেন ভারত এই প্রস্তাবে সায় দিল না, সরাসরি এর কোনও ব্যাখ্যা দেওয়া হয়নি। তবে কূটনীতিকরা মনে করছেন, এটিকে চিনের অভ্যন্তরীণ বিষয় হিসেবে বিবেচনা করেই পক্ষে-বিপক্ষের বিতর্কে জড়াতে চায়নি নয়াদিল্লি। অন্য কোনও দেশের ভিতরকার কোনও সমস্যা নিয়ে রাষ্ট্রপুঞ্জে ভোটদান থেকে নিজেদের সাধারণ ভাবে দূরে সরিয়ে রাখে ভারত। তা ছাড়াও, শিনজিয়াং নিয়ে রাষ্ট্রপুঞ্জে আওয়াজ তুললে ভারতের অভ্যন্তরীণ বিষয়েও নাক গলানোর সুযোগ পেয়ে যাবে বেজিং। চিনের হাতে সেই ‘অস্ত্র’ জেনেবুঝে ভারত তুলে দিতে চায় না বলেই মত কূটনীতিকদের একাংশের।

শ্রীলঙ্কার ক্ষেত্রেও একই ভূমিকা নিয়েছে ভারত। তবে সে দেশের সংখ্যালঘু তামিলদের প্রতি সরকার যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছে, তা যেন ঠিক মতো পালন করা হয়, সেই আহ্বান জানিয়েছে। রাষ্ট্রপুঞ্জের মানবাধিকার পরিষদে ভারতের স্থায়ী প্রতিনিধি ইন্দ্রমণি পান্ডে জানিয়েছেন, তামিলদের প্রতি শ্রীলঙ্কা সরকারের যে দায়বদ্ধতা তা ‘সঠিক’ ভাবে পালন করা হচ্ছে না।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন