International News

উগ্র জাতীয়তাবাদের আগ্রাসনে খর্ব হচ্ছে ধর্মীয় স্বাধীনতা, প্রথম সারিতে ভারত, চিন

একটি ক্যাথলিক এনজিও 'এইড টু দ্য চার্চ ইন নিড'-এর হালের একটি রিপোর্ট এই অশনি সঙ্কেত দিয়েছে। ওই রিপোর্ট তথ্য ও পরিসংখ্যান দিয়ে জানিয়েছে, ২০১৮ সালের জুন পর্যন্ত গত দু'বছরে ধর্মীয় স্বাধীনতার উপর আঘাত সবচেয়ে বেশি চোখে পড়েছে বিশ্বের ২১টি দেশে।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ২৩ নভেম্বর ২০১৮ ১৪:৪৮
Share:

ফাইল চিত্র।

দেশে দেশে ধর্মীয় স্বাধীনতাকে উত্তরোত্তর খর্ব করছে "আগ্রাসী" উগ্র জাতীয়তাবাদ। গায়ের জোরে কেড়ে নেওয়া হচ্ছে মানুষের ধর্ম পালনের অধিকার। গত দু'বছরে যে ১৮টি দেশে উগ্র জাতীয়তাবাদের এই ধরনের দাপাদাপি, আগ্রাসন সবচেয়ে বেশি বেড়েছে, তার মধ্যে একেবারে সামনের সারিতে রয়েছে ভারত ও চিনের নাম। যে ৩৮টি দেশে রীতিমতো বিপদের মুখে পড়ে গিয়েছে ধর্মীয় স্বাধীনতা, তাদের মধ্যে রয়েছে নাইজিরিয়া, মায়ানমার, আলজিরিয়া, তুরস্ক ও রাশিয়ার নামও।

Advertisement

একটি ক্যাথলিক এনজিও 'এইড টু দ্য চার্চ ইন নিড'-এর হালের একটি রিপোর্ট এই অশনি সঙ্কেত দিয়েছে। ওই রিপোর্ট তথ্য ও পরিসংখ্যান দিয়ে জানিয়েছে, ২০১৮ সালের জুন পর্যন্ত গত দু'বছরে ধর্মীয় স্বাধীনতার উপর আঘাত সবচেয়ে বেশি চোখে পড়েছে বিশ্বের ২১টি দেশে। যাদের মধ্যে ভারত ও চিন ছাড়াও রয়েছে মায়ানমার ও নাইজিরিয়ার নামও।

তবে গত দু'বছরে আলজিরিয়া, তুরস্ক, রাশিয়া-সহ ১৭টি দেশেও ধর্মীয় স্বাধীনতার উপর আঘাতের ঘটনা ঘটতে দেখা গিয়েছে বলে ওই রিপোর্ট জানিয়েছে। বিশ্বের ১৯৬টি দেশের উপর সমীক্ষা চালিয়ে এই রিপোর্ট বানানো হয়েছে। এটাই ওই ক্যাথলিক এনজিও'র চতুর্দশ দ্বিবার্ষিক রিপোর্ট।

Advertisement

আরও পড়ুন- করাচির চিনা কনসুলেটে বন্দুকবাজদের হানা, হত ২ নিরাপত্তারক্ষী​

আরও পড়ুন- দেশপ্রেম? এ হল স্বার্থপরতা​

প্যারিসে এক সাংবাদিক সম্মেলনে ওই রিপোর্ট প্রকাশ করে ক্যাথলিক এনজিও'টির ফরাসি চ্যাপ্টারের প্রধান মার্ক ফ্রমাগার বলেছেন, "দেশে দেশে আমরা ধর্মীয় স্বাধীনতার উপর বর্বর আক্রমণের ঘটনা ঘটতে দেখেছি। বিশেষ করে, ভারত ও চিনের মতো বিশ্বের সবচেয়ে জনবহুল দু'টি দেশে গত দু'বছরে সংখ্যালঘুদের উপর হানাদারির যে সব ঘটনা ঘটেছে, ঘটে চলেছে, তাকে আগ্রাসী উগ্র জাতীয়তাবাদ ছাড়া আর কিছুই বলা যায় না।"

চিনে আগ্রাসী উগ্র জাতীয়তাবাদের দৃষ্টান্ত দিতে গিয়ে ফ্রমাগার বলেছেন, "গত দু'বছরে সেখানে গির্জা ধ্বংস করা হয়েছে। উইঘুর সম্প্রদায়ের মুসলিমদের রমজান পালন নিষিদ্ধ করা হয়েছে। তিব্বতে বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের উপর হানাদারির ঘটনা উত্তরোত্তর বেড়েই চলেছে। তবে সন্ত্রাসবাদী সংগঠন ইসলামিক স্টেট (আইএস) দুর্বল হয়ে পড়ায় সিরিয়া ও ইরাকে ধর্মীয় স্বাধীনতার উপর আঘাতের ঘটনা কমেছে।"

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন