প্রতীকী ছবি।
সিগারেট পেপার কিনতে এসেছিল একদল কিশোর। কিন্তু, কমবয়সীদের কাছে তা বিক্রি করতে চাননি স্টোর-কর্মী। আর তাতেই বাধে গণ্ডগোল। স্টোর-কর্মীকে সজোরে ঘুষি মারে তারা। মেঝেতে উল্টে পড়েন তিনি। চোট লাগে মাথায়।
এই ঘটনার দিন দুয়েক পর মৃত্যুর কাছে হার মানলেন ভারতীয় বংশোদ্ভূত ওই স্টোর-কর্মী বিজয় পটেল (৪৯)। উত্তর লন্ডনে শনিবার এই ঘটনা ঘটেছে। বৃহস্পতিবার আদালতে আত্মসমর্পণ করেছে মূল অভিযুক্ত। বাকিদের খোঁজ করছে পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে খবর, উত্তর লন্ডনের মিল হিল এলাকায় একটি স্টোর কাজ করতেন বিজয়। শনিবার রাতে সেই স্টোরে এসে সিগারেট পেপার কিনতে চায় একদল কিশোর। কিন্তু, তা দিতে চাননি স্টোরের কর্মীরা। ব্রিটেনে ১৮ বছরের কমবয়সীদের কাছে সিগারেট ও অ্যালকোহল বিক্রি নিষিদ্ধ। সে কারণেই ওই কিশোরেরা যে প্রাপ্তবয়স্ক তার প্রমাণপত্র চেয়েছিলেন স্টোরের কর্মীরা। তাতেই ক্ষেপে যায় তারা। শুরু হয় হম্বিতম্বি। সিগারেট পেপার না বিক্রি করলে স্টোর ভাঙচুরেরও হুমকি দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। ঝামেলা মেটাতে সেখানে এগিয়ে আসেন বিজয়। কিন্তু, বিজয়ের কথাও শুনতে চায়নি তারা। কথা কাটাকাটির মাঝেই বিজয়ের বুকে সজোরে ঘুষি মারে এক কিশোর। আচমকা সেই ধাক্কা সামলাতে না পেয়ে স্টোর থেকে ছিটকে ফুটপাথে পড়ে যান বিজয়। গুরুতর আঘাত লাগে তাঁর মাথায়। বেগতিক দেখে সেখান থেকে পালিয়ে যায় কিশোরেরা।
আরও পড়ুন
বনগাঁয় গলার নলি কেটে খুন শাশুড়িকে
পুলিশ জানিয়েছে, আশঙ্কাজনক অবস্থায় বিজয়কে সে রাতেই স্থানীয় একটি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। তাঁর শারীরিক অবস্থার ক্রমশ অবনতি হতে থাকে। লাইফ সাপোর্টে রাখা হয় বিজয়কে। কিন্তু, তা সত্ত্বেও তাঁর পরিস্থিতির কোনও উন্নতি হয়নি। সোমবার হাসপাতালেই মারা যান বিজয়।
আরও পড়ুন
আবার নতুন বন্দোবস্ত, আধার নম্বরের বদলে ১৬ অঙ্কের ভার্চুয়াল নম্বর
ঘটনার পর হাসপাতালে বেডে লাইফ সাপোর্টে থাকা বিজয়ের ছবি ছাপিয়ে অভিযুক্তদের ধরার জন্য আবেদন করেন তাঁর স্ত্রী বিভা পটেল। হামলার সময় ভারতে আত্মীয়দের বাড়িতে ছিলেন তিনি।
সম্পাদক অঞ্জন বন্দ্যোপাধ্যায়ের লেখা আপনার ইনবক্সে পেতে চান? সাবস্ক্রাইব করতে ক্লিক করুন
ঘটনার তদন্তে নামে মেট্রোপলিটন পুলিশ। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান, বিজয়ের উপর হামলায় ঘটনায় জড়িত ছিল তিন জন কিশোর। আত্মসমর্পণকারী কিশোরের বিরুদ্ধে খুনের মামলা রুজু করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।