এ ফ পি
বিনা যুদ্ধে সূচ্যগ্র মেদিনী নয়— দাবি দু’পক্ষেরই! এক দিকে জঙ্গি-রাজ শেষ করে মসুলে সরকারি শাসন পুনঃপ্রতিষ্ঠায় অভিযানের দ্বিতীয় দিনেও জোরদার লড়াই জারি রাখল সরকার। আর অন্য দিকে এর শেষ দেখে ছাড়ার হুঁশিয়ারি দিল ইসলামিক স্টেট (আইএস)!
ইরাকের ‘মসুল অভিযানে’র দ্বিতীয় দিনেও সেনা, কুর্দ-পেশমেরগা বাহিনীর সঙ্গে তাল মিলিয়ে বোমাবর্ষণ চালাল মার্কিন জোট। জঙ্গি রমরমায় লাগাম দিতে মসুল পুনর্দখল যে জরুরি,সে কথা মেনে নিয়ে বাগদাদেরদিকে সাহায্যের হাত বাড়াল ইরান, তুরস্ক, অস্ট্রেলিয়াও।
সোমবার গভীর রাত পর্যন্ত চাঁদের আলোয় মসুল শহর সংলগ্ন বেশ কয়েকটি গ্রামে জঙ্গিনিধন চালিয়েছে পেশমেরগা বাহিনী। দিনের আলো ফুটতেই মাঠে নামে সেনা। মঙ্গলবার এক দিকে যখন সুড়ঙ্গ খুঁড়ে শহরে ঢোকার রাস্তা তৈরি করেছে সেনা, অন্য দিকে জঙ্গিনিধনে ব্যাপক বিমানহানা চালিয়েছে মার্কিন নেতৃত্বাধীন জোট। এ দিন পাল্টা আক্রমণ চালিয়েছে জঙ্গিরাও। সেনা সূত্রে খবর, অন্তত পাঁচটি এলাকায় সরকারপন্থী বাহিনীকে নিশানা করে জঙ্গিদের গাড়িবোমা ও আত্মঘাতী বিস্ফোরণে কুর্দ বাহিনীর পাঁচ জন মারা গিয়েছেন। পেন্টাগন জানিয়েছে, মঙ্গলবার মসুল সংলগ্ন ২০টি গ্রাম (২০০ বর্গ কিলোমিটার) কব্জা করেছে সরকার। এই অভিযানকে ২০১৬ সালের সবচেয়ে বড় এবং জটিল অভিযান বলে দাবি করে আমজনতার সুরক্ষা নিয়ে ফের উদ্বেগ প্রকাশ করেছে রাষ্ট্রপুঞ্জ। অনুমান, আশ্রয় হারাবেন হাজার সত্তর মানুষ।
বাগদাদের অভিযানে এ দিন সামিল হওয়ার কথা ঘোষণা করেছে তুরস্ক। এরদোগানের সরকার জানিয়েছে, ইরাকে পৌঁছেছে তুর্কি সেনার প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত স্থানীয় বাহিনী। উড়েছে যুদ্ধবিমান। মসুল-অভিযানে সেনা পাঠানোর কথা ঘোষণা করেছে অস্ট্রেলিয়ার বিদেশ মন্ত্রকও। পাশাপাশি ইরাকে ত্রাণকার্য বাবদ প্রায় আট লক্ষ ডলার অনুদানের কথা জানিয়েছে নিউজিল্যান্ড।
মসুল দখল এখন শুধু সময়ের অপেক্ষা— দাবি আমেরিকার। আর এমনটা হলে পরবর্তী পদক্ষেপ কী হবে? উত্তর খুঁজতে ২৫ অক্টোবর প্যারিসে বৈঠকে বসছেন মার্কিন-জোটের রাষ্ট্রনেতারা।