ড্রোন হামলার মুহূর্ত। ছবি এক্স।
ধারাবাহিক ক্ষেপণাস্ত্র হানার পরে এ বার ইজ়রায়েলে ড্রোন হামলা চালাল হুথি। ইরানের মদতপুষ্ট ইয়েমেনের শিয়া সশস্ত্র গোষ্ঠীটির হানাদার ড্রোনের আঘাতে বুধবার দক্ষিণ ইজ়রায়েলের এইলাত শহরে অন্তত ২০ জন গুরুতর জখম হয়েছেন বলে বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর সরকার জানিয়েছে। অগস্টে ইয়েমেনের রাজধানী সানায় ইজ়রায়েলি হানায় মৃত্যু হয়েছিল হুথি সরকারের প্রধানমন্ত্রী আহমেদ গালিব আল-রাহাবির। তার পর থেকেই ধারাবাহিক ভাবে ইজ়রায়েলে হামলা চালাচ্ছে তারা।
২০২৩-এর অক্টোবরে গাজ়ায় সংঘর্ষ শুরুর পরেই ইজ়রায়েলের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেছিল হুথি। পশ্চিম এশিয়ায় মোতায়েন মার্কিন সেনার সেন্ট্রাল কমান্ডের (সেন্টিকম) বাহিনী চলতি বছরের গোড়া থেকে হুথিদের বিরুদ্ধে সামরিক অভিযান শুরু করেছে। সৌদি আরবের মদতপুষ্ট ইয়েমেনের সুন্নি মুসলিম গোষ্ঠীর সরকারও শিয়া বিদ্রোহী গোষ্ঠী হুথিদের বিরুদ্ধে অভিযান চালাচ্ছে। কিন্তু রাজধানী সানা-সহ উত্তর ইয়েমেনের বিভিন্ন অংশ এখনও হুথিদের নিয়ন্ত্রণে। সেখান থেকেই প্রত্যাঘাত করছে তারা।
পশ্চিম এশিয়ায় তেল আভিভের বিরুদ্ধে তেহরানের ‘যৌথ প্রতিরোধমূলক কর্মসূচি’ (অ্যাক্সিস অফ রেজ়িস্ট্যান্স)-তে গাজ়ার হামাস, লেবাননের হিজ়বুল্লা, ইরাকের ‘পপুলার মোবিলাইজ়েশন ফোর্স’ (এমপিএফ)-এর পাশাপাশি রয়েছে ইয়েমেনের হুথি বাহিনীও। গত বছরের ডিসেম্বরে হুথি বাহিনী ইজ়রায়েলে হাইপারসনিক (শব্দের চেয়ে পাঁচ গুণ বা তার বেশি গতিসম্পন্ন) ক্ষেপণাস্ত্র ‘প্যালেস্টাইন-২’ দিয়ে হামলা চালিয়েছিল। তার পর থেকে ইজ়রায়েলও ধারাবাহিক হামলা চালাচ্ছে ইয়েমেনে। কিন্তু হুথি বাহিনী কোনও অবস্থাতেই তেল আভিভের সঙ্গে সমঝোতার রাস্তায় হাঁটবে না বলে জানিয়ে দিয়েছে ইতিমধ্যেই।