দোহায় হামলা নিয়ে ৯/১১-র প্রসঙ্গ টানলেন ইজ়রায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু। গ্রাফিক: আনন্দবাজার ডট কম।
কাতারের রাজধানী দোহায় হামলার সঙ্গে আমেরিকার ৯/১১-এর প্রত্যাঘাতের সঙ্গে তুলনা করলেন ইজ়রায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু। শুধু তা-ই নয়, কাতার বা সন্ত্রাসীদের আশ্রয়দানকারীদের সতর্ক করে তিনি জানিয়েছেন, হয় জঙ্গিদের দেশ থেকে বহিষ্কার করুক, নয়তো তাদের বিচারের আওতায় আনুক! নেতানিয়াহুর হুঁশিয়ারি, ‘‘যদি সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে তাদের আশ্রয়দাতারা পদক্ষেপ না করে, তবে আমরা করব।’’
দিন তিনেক আগে দোহায় সশস্ত্র প্যালিস্টাইনপন্থী গোষ্ঠী হামাসের ‘ঘাঁটি’তে হামলা চালায় ইজ়রায়েলের বিমানবাহিনী। কাতারে ইজ়রায়েলি হামলা নিয়ে প্রশ্নের মুখে পড়ে নেতানিয়াহুর সরকার। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পও স্পষ্ট জানিয়ে দেন, ইজ়রায়েলি হামলা সম্পর্কে আমেরিকা কিছু জানত না। যখন জেনেছেন, তখনই এ ব্যাপারে কাতার সরকারকে সতর্ক করেছে তাঁর প্রশাসন। দোহায় হামলা নিয়ে অন্য দেশের নিন্দার মুখে পড়লেও নেতানিয়াহু বার বার বুঝিয়েছেন, তিনি কোনও ভুল করেননি! আন্তর্জাতিক নিন্দার মধ্যে এক ভিডিয়ো বার্তায় নেতানিয়াহু ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর হামাসের আক্রমণকে ৯/১১-এর হামলার সঙ্গে তুলনা করেছেন। ৯/১১-এর হামলার পর আমেরিকা যে ভাবে সন্ত্রাসী গোষ্ঠী আল-কায়েদার বিরুদ্ধে অভিযান চালিয়েছিল, ইজ়রায়েলও দোহায় সেই কাজই করেছে বলে দাবি নেতানিয়াহুর।
ইজ়রায়েলের প্রধানমন্ত্রী আন্তর্জাতিক মহলকে নিশানা করে বলেন, ‘‘আমেরিকা ওসামা বিন লাদেনকে হত্যা করার পর তারা কী করেছিল? তারা কী বলেছিল, পাকিস্তানের সঙ্গে ভয়াবহ কাজ করা হয়েছে? তাই না? তারা আমেরিকার প্রশংসা করেছিল, হাততালি দিয়েছিল। তাদের উচিত একই নীতি অবলম্বন করে ইজ়রালেরও প্রশংসা করা।’’
ইজ়রায়েল ও হামাস সংঘাতে প্রথম থেকেই মধ্যস্থতা করে আসছে কাতার। কিন্তু কাতারেই ইজ়রায়েলি সেনার হামলার পর থেকেই নেতানিয়াহুর পদক্ষেপ প্রশ্নের মুখে পড়েছে। ওই হামলায় কাতারের নিরাপত্তাকর্মী-সহ ছ’জনের মৃত্যু হয়। তবে এক জন হামাস নেতাকে মারতে পারেনি ইজ়রায়েলি সেনা। এই হামলার নিন্দা জানিয়েছে দোহা-সহ তার পশ্চিমি বন্ধুরা। ট্রাম্প জানান, ইজ়রায়েলি হামলা তিনি অসন্তুষ্ট। কাতারের তরফেও কড়া বিবৃতি জারি করা হয়।