প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।
আমেরিকার মধ্যস্থতায় ইরান-ইজ়রায়েলের সংঘর্ষবিরতিতে আমল দিল না হুথি। তেহরানের মদতপুষ্ট ইয়েমেনের জঙ্গিগোষ্ঠীটি শনিবার আবার ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়ল ইজ়রায়েলে। ক্ষেপণাস্ত্র হামলা হয়েছে লোহিত সাগরে বাণিজ্যিক জাহাজেও! যদিও আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার সাহায্যে সফল ভাবে হুথি-হানা প্রতিহত করা হয়েছে বলে দাবি করেছে বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর সেনা।
২০২৩-এর অক্টোবরে গাজ়ায় সংঘর্ষ শুরুর পরেই ইজ়রায়েলের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেছিল হুথি। পশ্চিম এশিয়ায় মোতায়েন মার্কিন সেনার সেন্ট্রাল কমান্ডের (সেন্টিকম) বাহিনী চলতি বছরের গোড়া থেকে হুথিদের বিরুদ্ধে সামরিক অভিযান শুরু করেছে। সৌদি আরবের মদতপুষ্ট ইয়েমেনের সুন্নি মুসলিম গোষ্ঠীর সরকারও শিয়া বিদ্রোহী গোষ্ঠী হুথিদের বিরুদ্ধে অভিযান চালাচ্ছে। কিন্তু রাজধানী সানার উত্তরের বিভিন্ন অংশ এখনও হুথিদের নিয়ন্ত্রণে। চলতি মাসে ইরান-ইজ়রায়েল যুদ্ধের আবহে ধারাবাহিক ভাবে তেল আভিভে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছিল তারা।
পশ্চিম এশিয়ায় তেল আভিভের বিরুদ্ধে তেহরানের ‘যৌথ প্রতিরোধমূলক কর্মসূচি’ (অ্যাক্সিস অফ রেজ়িস্ট্যান্স)-তে গাজ়ার হামাস, লেবাননের হিজ়বুল্লা, ইরাকের ‘পপুলার মোবিলাইজ়েশন ফোর্স’ (এমপিএফ)-এর পাশাপাশি রয়েছে ইয়েমেনের হুথি বাহিনীও। গত বছরের ডিসেম্বরে হুথি বাহিনী ইজ়রায়েলে হাইপারসনিক (শব্দের চেয়ে পাঁচ গুণ বা তার বেশি গতিসম্পন্ন) ক্ষেপণাস্ত্র ‘প্যালেস্টাইন-২’ দিয়ে হামলা চালিয়েছিল। তার পর থেকে ইজ়রায়েলও ধারাবাহিক হামলা চালাচ্ছে ইয়েমেনে। কিন্তু হুথি বাহিনী কোনও অবস্থাতেই তেল আভিভের সঙ্গে সমঝোতার রাস্তায় হাঁটবে না বলে জানিয়ে দিয়েছে ইতিমধ্যেই।