আন্তর্জাতিক চাপের কাছে মাথা নুইয়ে গাজায় অভিযান থামানো হবে না বলে সাফ জানিয়ে দিলেন ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু। গাজায় ইজরায়েলি সেনার ‘অপারেশন প্রটেকটিভ এজে’-র পঞ্চম দিনে নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৩৫ জনে। আহতের সংখ্যা ৯৫০। হামাসের পাল্টা হামলায় কয়েক জন ইজরায়েলি আহত হলেও কারও মৃত্যু হয়নি।
সপ্তাহ জুড়ে গাজার প্রায় প্রতিটি হাসপাতালেরই এক ছবি। ওষুধ ফুরিয়ে আসছে দ্রুত। জরুরি চিকিৎসার বিভাগে থিকথিকে ভিড়। ইজরায়েলি বিমান হানায় জল ও বিদ্যুৎ সরবরাহ ব্যবস্থা বিপর্যস্ত হয়ে যাওয়ায় বেড়েছে সঙ্কট। তারই মধ্যে একটি হাসপাতালকে বাঁচাতে এক অভিনব পথ নিয়েছেন আমেরিকা, ভেনেজুয়েলা, বেলজিয়াম, ব্রিটেন এবং সুইজারল্যান্ডের আট সমাজকর্মী। হাসপাতালের বাইরে মানববন্ধন তৈরি করেছেন তাঁরা।
গাজার এক বহুতল আবাসনে গত কালও রকেট-হামলা করেছিল ইজরায়েলি সেনা। আজ একটি মসজিদ লক্ষ্য করে আক্রমণ চালানো হয় বলে অভিযোগ প্যালেস্তাইন প্রশাসনের। সেনার দাবি, হামাসের অস্ত্র ভাণ্ডার ধ্বংস করতেই এই হামলা। মাঝরাতের আক্রমণ আছড়ে পড়ে বেইত লাহিয়ার স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা পরিচালিত প্রতিবন্ধী আশ্রমেও। নিহত হয়েছেন ২ কিশোরী। রকেট হামলা থেকে রেহাই পায়নি জাবালিয়ার একটি ত্রাণ শিবিরও। সেখানে নিহত হয়েছেন এক জন।
ইজরায়েলি সরকার সূত্রে খবর, গাজা দখল করা নিয়ে আজ, রবিবার বিশেষ বৈঠকে বসবে নেতানিয়াহু সরকারের মন্ত্রিসভা। সেই বৈঠকেই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হতে পারে। সোমবার কায়রোয় আরব লিগের বিদেশমন্ত্রীরাও বিশেষ বৈঠকে বসবেন।
পাল্টা হুমকি আসছে হামাসের তরফেও। এক মুখপাত্রের দাবি, “আক্রমণ শুরু করেছে ওরা। আমরা তো কেবল নিজেদের রক্ষা করার চেষ্টা করছি।” ইজরায়েলের বেন-গুরিয়ন বিমানবন্দর উড়িয়ে দেওয়ার হুমকিও দিয়েছে হামাস। এই হুমকি মোটেই সহজ ভাবে নিতে পারছে না ইজরায়েলি প্রশাসন। এক প্রশাসনিক কর্তার কথায়, “এই ধরনের হুমকি থেকে বোঝাই যায় যে, হামাস আরও বড় কোনও যুদ্ধের প্রস্তুতি নিচ্ছে। আল কায়দার মতো জঙ্গি গোষ্ঠীর সঙ্গে এদের আর কোনও ফারাক থাকল না। অবশ্য আমরাও এর জবাব দিতে তৈরি।”