ইজ়রায়েলের বিমানবন্দরে হুথি গোষ্ঠীর ড্রোন হামলা। ছবি: সংগৃহীত।
ইজ়রায়েলে একের পর এক ড্রোন হামলা শুরু করল ইরান-সমর্থিত হুথি গোষ্ঠী। ইজ়রায়েলি সেনা এই হামলার কথা স্বীকার করেছে। তারা জানিয়েছে, ইয়েমেন থেকে একাধিক ড্রোন ইজ়রায়েলর উদ্দেশে নিক্ষেপ করা হয়েছিল। তাদের মধ্যে একটি ড্রোন ইলাতের আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে আঘাত করেছে। এর ফলে ইজ়রায়েলের আকাশসীমা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। বিমান চলাচল সাময়িক স্থগিত করেছে ইজ়রায়েলি সরকার।
রবিবার নতুন করে ইজ়রায়েলের উপর হামলা শুরু করেছে বিদ্রোহী শিয়া সশস্ত্র গোষ্ঠী হুথি। ইয়েমেন থেকে বেশ কয়েকটি ড্রোন ছোড়া হয় দক্ষিণ ইজ়রায়েল লক্ষ্য করে। ইজ়রায়েলি সেনা জানিয়েছে, অনেকগুলি ড্রোন তারা ধ্বংস করেছে। তবে একটি ড্রোন বিমানবন্দরে আঘাত করে। এই ড্রোন হামলায় বিমানবন্দরে কতটা ক্ষতি হয়েছে, তা এখনও স্পষ্ট করে জানায়নি বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর সরকার। শুধু তা-ই নয়, এখনও পর্যন্ত কোনও হতাহতের খবরও মেলেনি।
গত মে মাসেও হুথিদের ছোড়া ক্ষেপণাস্ত্র ইজ়রায়েলের মূল বিমানবন্দরের কাছে আঘাত করেছিল। ওই হামলা চার জন আহত হয়েছিলেন। সেই হামলার কারণে বেশ কয়েকটি বিমানসংস্থা ইজ়রায়েলে বিমান পরিষেবা স্থগিত রেখেছিল। পাল্টা হামলা চালিয়েছিল ইজ়রায়েলও। ইয়েমেনের রাজধানী সানার বিমানবন্দর ধ্বংস করেছিল ইজ়রায়েলি সেনা।
দিন কয়েক আগে ইজ়রায়েলের আকস্মিক বিমান হামলায় মৃত্যু হয় হুথি প্রধানমন্ত্রী আহমেদ গালিব আল-রাহাবির। শুধু তা-ই নয়, দেশের আরও কয়েক জন মন্ত্রীরও মৃত্যু হয় ইজ়রায়েলি বিমান হামলায়। সেই ঘটনার পর সরাসরি ইজ়রায়েলকে হুঁশিয়ারি দিয়েছিল হুথি। সে সময় ইয়েমেনি রাজনীতিক এবং সামরিক কর্তা মাহদী আল-মাশাত বলেছিলেন, ‘‘আমরা এর প্রতিশোধ নেবই। এই গভীর ক্ষত নিয়েই আমরা জয় ছিনিয়ে আনব।’’ অনেকের মতে, রাহাবির মৃত্যুর প্রতিশোধ নিতেই রবিবার ইজ়রায়েলে হামলা চালিয়েছে হুথি। যদিও এই হামলা প্রসঙ্গে হুথির পক্ষ থেকে এখনও কোনও বিবৃতি দেওয়া হয়নি।
২০২৩-এর ৭ অক্টোবর গাজ়া ভূখণ্ডে সশস্ত্র প্যালেস্টাইনি গোষ্ঠী হামাসের বিরুদ্ধে ইজ়রায়েলি সেনার অভিযান শুরুর পরে হুথি বাহিনী ব্যালিস্টিক এবং ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়েছিল তেল আভিভে! এর পরে পশ্চিম এশিয়ায় মোতায়েন মার্কিন সেনার সেন্ট্রাল কমান্ড (সেন্টিকম) হুথির বিরুদ্ধে অভিযান চালায়।