গণভোটে হেরে ইস্তফা ইতালির প্রধানমন্ত্রীর

৬৮ বছরের পুরনো সংবিধান সংশোধন করতে গণভোটের ব্যবস্থা করেছিলেন ইতালির প্রধানমন্ত্রী মাত্তেও রেনজি। কিন্তু সেই ভোটে গো-হারা হেরে প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে সরে আসার সিদ্ধান্ত নিলেন তিনি।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

শেষ আপডেট: ০৬ ডিসেম্বর ২০১৬ ০৩:২৯
Share:

৬৮ বছরের পুরনো সংবিধান সংশোধন করতে গণভোটের ব্যবস্থা করেছিলেন ইতালির প্রধানমন্ত্রী মাত্তেও রেনজি। কিন্তু সেই ভোটে গো-হারা হেরে প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে সরে আসার সিদ্ধান্ত নিলেন তিনি। ঘটনাচক্রে আজই ইস্তফা দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছেন নিউজিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী জন কি-ও। তাঁর ইস্তফার কারণটা অবশ্য অন্য, একান্তই ব্যক্তিগত।

Advertisement

সম্প্রতি ইতালির ৭০ শতাংশ মানুষ গণভোটে সামিলও হয়েছিলেন। ব্রেক্সিটের মতো এ দেশেও তৈরি হয়েছিল ‘ইয়েস’ আর ‘নো’পন্থীর মতো দুই গোষ্ঠী। ‘ইয়েস’পন্থীদের হয়ে জোর প্রচার চালিয়েছিলেন রেনজি। কিন্তু ৬০ শতাংশ ইতালীয় ‘নো’ ভোট দিয়েছেন। অর্থাৎ তাঁরা চান না, দেশের সংবিধান সংশোধিত হোক।

গণভোটের ফল বেরোনোর পরে সমর্থকদের রেনজি বলেন, ‘‘এই পরাজয়ের পুরো দায়িত্ব আমার। আমি হেরেছি, আপনারা নন। আগামী কাল প্রেসিডেন্টের সঙ্গে দেখা করতে যাচ্ছি, বৈঠকের পরে তাঁর হাতে পদত্যাগপত্র জমা দিয়ে আসব।’’

Advertisement

সংবিধান সংশোধন করার পিছনে রেনজির আসল উদ্দেশ্য ছিল, পার্লামেন্টের উচ্চকক্ষ, সেনাটোর সদস্য সংখ্যা ছেঁটে ফেলা। ৩১৫ জনের উচ্চকক্ষে মাত্র একশো সদস্য রাখার পরিকল্পনা ছিল ইতালীয় প্রধানমন্ত্রীর। এতে দেশের মন্থর অর্থনীতি কিছুটা হলেও চাঙ্গা করা যেত বলে ভেবেছিলেন রেনজি। কিন্তু বিরোধীদের তাতে প্রবল আপত্তি ছিল। মূলত তাঁরা রেনজিকে হারাতে কোমোর বেঁধে প্রচারে নেমেছিলেন।

ইতালির রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ এখন প্রেসিডেন্টের হাতে। তিনি পার্লামেন্টের মধ্যে থেকেই নয়া সরকার গঠনের কথা ভাববেন, নাকি নতুন করে ভোটের দিন ঘোষণা করবেন, তা নির্ভর করছে একমাত্র তাঁর উপরই।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement
Advertisement