International news

পৃথিবীর জুয়া-ক্যাসিনোর রাজধানী এই শহর দুশো বছর আগেও ছিল ধু ধু মরুভূমি!

জনশূন্য একটা মরু উপত্যকা। রূপ বদলে ক্রমে জাঁকজমকপূর্ণ শহর। তৈরি হল লাস ভেগাস। এই মুহূর্তে মার্কিন রাজ্য নেভাদার সবচেয়ে জনবহুল শহর।

Advertisement
নিজস্ব প্রতিবেদন
শেষ আপডেট: ২৭ এপ্রিল ২০২০ ১০:২৭
Share:
০১ ১৪

জনশূন্য একটা মরু উপত্যকা। রূপ বদলে ক্রমে জাঁকজমকপূর্ণ শহর। তৈরি হল লাস ভেগাস। এই মুহূর্তে মার্কিন রাজ্য নেভাদার সবচেয়ে জনবহুল শহর।

০২ ১৪

মোজেভ মরুভূমির অন্তর্গত লাস ভেগাস কী ভাবে জনশূন্য মরু অঞ্চল থেকে মেট্রোপলিটন শহরে পরিণত হল? কী ভাবে নেভাদার অর্থনীতির মূল ভিত্তি হয়ে উঠল?

Advertisement
০৩ ১৪

সারা বিশ্ব এই শহরকে রিসর্ট সিটি নামে চেনে। এই শহর রাতে কখনও ঘুময় না। রাত বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে জুয়া, শপিং, বিলাসিতাও বাড়তে থাকে।

০৪ ১৪

লস অ্যাঞ্জেলসে যাওয়ার সময় তৃষ্ণার্ত স্পেনীয় পর্যটক আন্তোনিও আর্মিজো ও তাঁর দল এই মরু অঞ্চলেই থমকে দাঁড়ান। পাশ দিয়ে বয়ে চলা কলোরাডো নদী এবং তার থেকে বেশ কিছু ছোট ছোট জলাশয় সেখানে তৈরি হয়েছিল।

০৫ ১৪

সেটা ছিল ১৮২৯ সাল। আন্তোনিও আর্মিজোর দলের এক সদস্য তখন এই জায়গার নাম দেন লাস ভেগাস। যার অর্থ উর্বর জমি। লস অ্যাঞ্জলসে ব্যবসায়িক রাস্তা খোঁজাই ছিল তাঁদের উদ্দেশ্য।

০৬ ১৪

তারও অনেক পরে ১৯০৫ সালে লস অ্যাঞ্জেলস এবং সল্টলেক সিটির মধ্যে রেল লাইন তৈরি হয়। রেল লাইন লাস ভেগাসের উপর দিয়েই দুই শহরের সংযুক্ত করে। তার পরই এখানে বসতি স্থাপন হয়।

০৭ ১৪

প্রথমে চাষাবাদ শুরু হয়। সেচের জন্য জলের পাইপের ব্যবস্থা করা হয় জমিতে। ক্রমশ আশপাশ থেকে লোকজন আসতে শুরু করেন। তবে এই অঞ্চল শহুরে রূপ পেয়েছিল অনেকটাই পরে, ১৯৩১ সালে। যখন নদীর উপর হুভার বাঁধ তৈরির কাজ শুরু হয়।

০৮ ১৪

কাজের সন্ধানে সে সময় প্রচুর মানুষ লাস ভেগাসে আসতে শুরু করেন। এখানেই তাঁরা থাকতেন আর বাঁধের কাজ করতেন। ক্রমে শহরায়ন ঘটছিল লাস ভেগাসের। কাজের জন্য প্রচুর কম বয়সি যুবকের ভিড় বাড়ছিল।

০৯ ১৪

এই সুযোগটা কাজে লাগায় সে সময়ের মাফিয়ারা। কালো টাকা সাদা করার উদ্দেশে লাস ভেগাসে প্রচুর পরিমাণে টাকা ঢালতে শুরু করে। যুবক শ্রমিকদের বিলাসিতার জন্য থিয়েটার, ক্যাসিনো গড়ে তুলতে শুরু করে তারা।

১০ ১৪

দিনভর বাঁধের কাজ করার পর রাতে বিলাসিতা, এটাই হয়ে উঠেছিল তাঁদের জীবন। আর সেই থেকেই ক্রমে রাত জাগা শহর হয়ে ওঠে লাস ভেগাস।

১১ ১৪

বাঁধ তৈরির কাজ সম্পূর্ণ হলে বিদ্যুতের জোগানও হয়। প্রচুর হোটেল তৈরি হয়। ক্রমে পর্যটকদের জন্য বড় আকর্ষণের জায়গায় পরিণত হয় ভেগাস।

১২ ১৪

জুয়া সে সময় নিষিদ্ধ ছিল শহরে। কিন্তু স্থানীয় ব্যবসার জন্য জুয়া খুব লাভের হবে অনুমান করে এই শহরে জুয়াকে বৈধ করে দেওয়া হয়।

১৩ ১৪

১৯৩১ সালে নর্দার্ন ক্লাবকে প্রথম জুয়ার লাইসেন্স দেওয়া হয়। তার পর একে একে আরও কিছু ক্লাব এবং হোটেলে ক্যাসিনো চালানোর লাইসেন্স দেওয়া হয়।

১৪ ১৪

রাত জাগা এই শহরের জনসংখ্যা এখন প্রায় ছয় লক্ষ। সারা বছর ধরেই প্রচুর পর্যটক ভিড় জমান লাস ভেগাসে। জনহীন মরু অঞ্চলের এখন ভীষণ ব্যস্ত। ঘুম নেই তার চোখে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
Follow us on:
Advertisement
আরও গ্যালারি
Advertisement