Island of dolls

নির্জন দ্বীপে ঝুলছে মুণ্ডহীন, হাত-পা কাটা অসংখ্য পুতুল! পা রাখলেই শিউরে উঠবেন

নির্জন দ্বীপে কোথা থেকে এল এত পুতুল? কেই বা গাছে সেগুলো ঝুলিয়ে দিল?

Advertisement
নিজস্ব প্রতিবেদন
শেষ আপডেট: ০৬ নভেম্বর ২০২০ ১৪:৪৮
Share:
০১ ১৬

জলরাশির মাঝে সবুজে ঘেরা একটি দ্বীপ। দূর থেকে দেখলে চোখ ভরে আসে তার সবুজ বাহারে। অথচ এই দ্বীপে পা রাখলেই শিউরে উঠতে হয়। আলো-ছায়ার মাঝে এই দ্বীপের প্রতিটা গাছ থেকেই যেন ঝুলে রয়েছে একাধিক শিশু!

০২ ১৬

কেউ মুণ্ডহীন, কারও হাত-পা কাটা, কারও আবার সারা শরীর যেন কেউ ছিঁড়ে নিয়েছে। যতদূর চোখ যাবে এই দৃশ্যই চোখে পড়বে। ঘোর কাটলে বুঝতে পারবেন, ওগুলো আসলে পুতুল। সব গাছ থেকেই ঝুলছে ছোট-বড় এমন নানা চেহারার পুতুল।

Advertisement
০৩ ১৬

নির্জন দ্বীপে কোথা থেকে এল এত পুতুল? কেই বা গাছে সেগুলো ঝুলিয়ে দিল? উত্তর জানতে গেলে কয়েক বছর পিছনে হাঁটতে হয়। মেক্সিকো সিটির দক্ষিণে এই দ্বীপের নাম ‘দ্য আইল্যান্ড অব ডলস’।

০৪ ১৬

পরিবার ত্যাগ করে জনমানবশূন্য এই দ্বীপে এক সময় বসবাস করতে শুরু করেন ডন জুলিয়ান সান্তানা বরেরা নামে এক ব্যক্তি। জুলিয়ান নামে এই ব্যক্তির জীবনের সঙ্গেই লুকিয়ে রয়েছে এই পুতুল দ্বীপের রহস্য।

০৫ ১৬

বিশ শতকের মাঝামাঝি সময়ে স্ত্রী ও পরিবার ত্যাগ করেছিলেন জুলিয়ান। শুধু পরিবারের থেকেই নিজেকে আলাদা করে নেননি, সমাজ থেকেও নিজেকে আলাদা করে নিয়ে থাকতে শুরু করেন এই নির্জন দ্বীপে।

০৬ ১৬

জানা যায়, এই দ্বীপে বসবাস করতে শুরু করার কয়েক দিনের মধ্যেই তিনি নাকি দ্বীপে ঝোপ-জঙ্গলে ঢাকা একটি নালা থেকে এক বাচ্চা মেয়ের মৃতদেহ উদ্ধার করেন।

০৭ ১৬

জুলিয়ানের দাবি, পাশের একটি হ্রদে মেয়েটি ডুবে গিয়েছিল। তারপর তার শরীর ভেসে আসে এই নালায়। এর কিছু দিন পর নালার ঠিক ওই একই জায়গায় একটি পুতুলও ভেসে আসে।

০৮ ১৬

এরপর থেকেই জীবন বদলে যায় জুলিয়ানের। সারা দিনই বাচ্চা মেয়ের ফিসফিস শুনতে পেতে শুরু করেন তিনি। তার খেলার শব্দ, ছুটে বেড়ানোর শব্দও কানে আসতে শুরু করে তাঁর।

০৯ ১৬

ভীত জুলিয়ান বাচ্চা মেয়েটির আত্মাকে শান্ত করার একটা উপায় বার করে নিলেন। নালা থেকে তুলে এনে পুতুলটি পাশেই একটা গাছে ঝুলিয়ে দিলেন আর নিজেকে ওই দ্বীপের রক্ষাকর্তা ভেবে বসলেন।

১০ ১৬

এরপর থেকে জীবনের বাকি ৫০টি বছর ওই দ্বীপেই কাটান তিনি। বিভিন্ন জায়গা থেকে এমন সব নানা পরিত্যক্ত পুতুল তুলে এনে দ্বীপের গাছগুলিতে ঝোলাতে শুরু করেন। একটি একটি করে দ্বীপের প্রায় সব গাছই ভরে যায় পরিত্যক্ত পুতুলে।

১১ ১৬

২০০১ সালে ডন জুলিয়ানের মৃত্যুও হয় রহস্যজনক ভাবে। যে নালায় বাচ্চা মেয়েটির মৃতদেহ দেখার দাবি করেছিলেন তিনি, ঠিক সেখানেই ডুবে মারা যান জুলিয়ান। তাঁর মৃত্যুর সঙ্গে এই পুতুল দ্বীপের রহস্যও চাপা পড়ে গিয়েছে।

১২ ১৬

সত্যিই জুলিয়ান নালায় কোনও বাচ্চা মেয়ের মৃতদেহ দেখেছিলেন কি না, তার আত্মা এই দ্বীপে ঘুরে বেড়াত কি না, সে সবের উত্তর এখনও অজানা।

১৩ ১৬

জুলিয়ানের পরিবার অবশ্য পরবর্তীকালে এগুলো অস্বীকার করে জানায়, তিনি মানসিকভাবে সম্পূর্ণ সুস্থ ছিলেন না। সে কারণেই বাড়ি ছেড়ে চলে গিয়েছিলেন।

১৪ ১৬

জুলিয়ানের চিন্তাভাবনা সত্য ছিল কি না তা অজানা রয়ে গিয়েছে। তবে এই দ্বীপ সত্যিই রহস্যে ঘেরা। মেক্সিকোর পুতুল দ্বীপ এখন পর্যটকদের কাছে খুব জনপ্রিয়। অসংখ্য পুতুল ছাড়া এই দ্বীপে একটি জাদুঘর রয়েছে। যাতে দ্বীপ সংক্রান্ত প্রকাশিত সমস্ত খবরের কাগজের ক্লিপিং যত্ন করে রাখা। জুলিয়ানের সেই প্রথম পুতুলটিও সংগ্রহ করে রাখা রয়েছে এখানে।

১৫ ১৬

অনেক পর্যটকই ওই বাচ্চা মেয়ে এবং জুলিয়ানকে সম্মান জানাতে সঙ্গে করে পুতুল নিয়ে এসে দ্বীপের গাছে ঝুলিয়ে দেন।

১৬ ১৬

রহস্যময় এই পুতুল দ্বীপ আমেরিকান টেলিভিশন ট্রাভেল চ্যানেলে ‘ঘোস্ট অ্যাডভেঞ্চার’ নামে এক তথ্যচিত্রে দেখানো হয়েছিল। অ্যামাজন প্রাইম-এর সিরিজ ‘লোর’-এও এই দ্বীপের রহস্য দেখানো হয়েছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
Follow us on:
Advertisement
আরও গ্যালারি
Advertisement