Russia-Ukraine War

‘আমেরিকার সঙ্গে সুসম্পর্ক চাই’, ট্রাম্প ইউক্রেনকে অস্ত্র দেওয়ার ঘোষণা করার পরে বলল মস্কো

গত ২৮ ফেব্রুয়ারি ওভাল অফিসে ট্রাম্প-জ়েলেনস্কির বাগ্‌যুদ্ধের পর কিভকে সামরিক সাহায্যদান বন্ধের কথা ঘোষণা করেছিল হোয়াইট হাউস। কিন্তু নতুন করে কিভকে ক্ষেপণাস্ত্র দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন ট্রাম্প।

Advertisement

আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক

শেষ আপডেট: ০৯ জুলাই ২০২৫ ১৯:০৫
Share:

(বাঁ দিক থেকে) ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জ়েলেনস্কি, রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন এবং আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। গ্রাফিক: আনন্দবাজার ডট কম।

ইউক্রেনকে সামরিক সহায়তার প্রশ্নে অবস্থান বদলের বার্তা দিল ডোনাল্ড ট্রাম্পের সরকার। মাস চারেক আগে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ঘোষণা করেছিলেন, রুশ হামলা থেকে ভলোদিমির জ়েলেনস্কির দেশকে রক্ষা করার উদ্দেশ্যে গঠিত ‘ইউক্রেন ডিফেন্স কনটাক্ট গ্রুপ’ থেকে সরে দাঁড়াবেন তিনি। মঙ্গলবার আমেরিকার সংবাদমাধ্যম ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল জানিয়েছে, পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে ভ্লাদিমির পুতিনের বাহিনীর আকাশ হামলা ঠেকানোর জন্য ইউক্রেন সেনাকে প্যাট্রিয়ট ক্ষেপণাস্ত্র দিতে সম্মত হয়েছে হোয়াইট হাউস।

Advertisement

ট্রাম্পও ইতিমধ্যেই রুশ হামলা ঠেকাতে সহযোগিতার বার্তা দিয়েছেন ইউক্রেনকে। তিনি বলেছেন, ‘‘আমরা ওদের (ইউক্রেনকে) আরও কিছু অস্ত্র পাঠাচ্ছি। ওদেরও তো আত্মরক্ষা করতে হবে। ওদের উপর ভীষণ হামলা হচ্ছে এখন।’’ আমেরিকা এবং পশ্চিম ইউরোপের অধিকাংশ দেশই গত তিন বছর ধরে রাশিয়ার আগ্রাসনের বিরুদ্ধে ধারাবাহিক ভাবে ইউক্রেনকে সামরিক সাহায্য করে এসেছে। সেই উদ্দেশ্যেই গঠিত হয়েছিল ‘ইউক্রেন ডিফেন্স কনটাক্ট গ্রুপ’। কিন্তু গত ২৮ ফেব্রুয়ারি ওভাল অফিসে ট্রাম্পের সঙ্গে জ়েলেনস্কির বাগ্‌যুদ্ধ এবং বৈঠক ভেস্তে যাওয়ার পরেই সামরিক সাহায্যদান থেকে হাত গুটিয়ে নেওয়ার কথা ঘোষণা করেছিল হোয়াইট হাউস।

ঘটনাচক্রে, ট্রাম্প হাত গুটিয়ে নেওয়ার পরে গত তিন মাসে ইউক্রেনের কয়েক হাজার বর্গকিলোমিটার এলাকা দখল করেছে পুতিনসেনা। ইউক্রেন ফৌজকে হটিয়ে রুশ ভূখণ্ড কুর্স্কের বিস্তীর্ণ এলাকাও পুনরুদ্ধার করেছে তারা। কিন্তু পুতিনের সাম্প্রতিক কার্যকলাপে আমেরিকা খুশি নয় জানিয়ে মঙ্গলবার ট্রাম্প বলেছেন, ‘‘রাশিয়ার উপর নতুন করে নিষেধাজ্ঞা আরোপের বিষয়টি নিয়ে আমরা ভাবনাচিন্তা করছি।’’ প্রায় ছ’মাস আগে রাশিয়ার উপর নিষেধাজ্ঞা শিথিল করেছিলেন ট্রাম্প। তা প্রত্যাহার করা হতে পারে বলেও ইঙ্গিত দেন তিনি। এই পরিস্থিতিতে বুধবার ওয়াশিংটনের কাছে সন্ধির বার্তা পাঠিয়েছে মস্কো। ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ বলেন, ‘‘আমরা দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক মেরামত করতে উদ্‌গ্রীব।’’ যদিও সেই সঙ্গেই তাঁর মন্তব্য, ‘‘ট্রাম্প সম্ভবত বুঝতে পেরেছেন যে রাশিয়া এবং ইউক্রেনের মধ্যে সংঘাতের সমাধান করা সহজ হবে না। তাঁর কল্পনার থেকেও বিষয়টি কঠিন।’’

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement
Advertisement