(বাঁ দিকে) ভলোদিমির জ়েলেনস্কি, (মাঝে) ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং ভ্লাদিমির পুতিন (ডান দিকে)। —ফাইল চিত্র।
আমেরিকা ইউক্রেনের পাশে দাঁড়ানোর বার্তা দিতেই ফের কিভের বিরুদ্ধে হামলা চালাল রাশিয়া। ইউক্রেনের বিরুদ্ধে রাতভর ৭২৮টি ড্রোন হামলা চালিয়েছে রাশিয়া। গত তিন বছর ধরে চলে আসা রুশ-ইউক্রেন যুদ্ধে কিভের বিরুদ্ধে এক দিনে এতগুলি ড্রোন হানার ঘটনা এই প্রথম। যদিও কিভের দাবি, এর মধ্যে বেশির ভাগ ড্রোনই মাঝ-আকাশে ধ্বংস করে দিয়েছে তারা।
রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের উপর অসন্তুষ্ট আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। গত সোমবারই তা বুঝিয়ে দিয়েছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। একই সঙ্গে ইউক্রেনকে ১০টি ‘প্যাট্রিয়ট’ ক্ষেপণাস্ত্র পাঠানোর প্রতিশ্রুতিও দেন তিনি। এর পরে মঙ্গলবার ক্যাবিনেট বৈঠকেও পুতিনের উপর বিরক্তি বুঝিয়ে দেন তিনি। পুতিনের বিরুদ্ধে ট্রাম্প এই অবস্থান জানাতেই ফের কিভের উপর হামলা চালাল মস্কো।
বস্তুত, সম্প্রতি রুশ-আমেরিকা কূটনৈতিক সংঘাত বার বার প্রকাশ্যে এসেছে। রাশিয়ার উপর নিষেধাজ্ঞা চাপানোর হুঁশিয়ারি দিয়েছেন ট্রাম্প (যে দাবি ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জ়েলেনস্কি বার বার তুলে আসছেন)। ট্রাম্পের দাবি, মার্কিন সেনেটে এই সংক্রান্ত বিল আনার কথা ভাবা হচ্ছে। শুধু রাশিয়ার উপরেই নয়, যে সব দেশ রাশিয়া থেকে তেল, গ্যাস, ইউরেনিয়াম এবং অন্য জিনিসপত্র কেনে তাদের উপরে শুল্ক চাপানোরও হঁশিয়ারি দিয়েছেন তিনি। অন্য দেশের সঙ্গে ব্যবসার টাকা দিতে রাশিয়া যুদ্ধ চালিয়ে যাচ্ছে বলে দীর্ঘ দিন ধরে অভিযোগ তুলছে ইউক্রেন। এ অবস্থায় ট্রাম্পের এই হুঁশিয়ারি যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ।
ঘটনাচক্রে, দ্বিতীয় বার ক্ষমতায় আসার পরে ট্রাম্প রুশ-ইউক্রেন যুদ্ধে একতরফা ভাবে ইউক্রেনকে সাহায্যের নীতি থেকে সরে এসেছিলেন। রাশিয়ারও যুক্তিযুক্ত কারণ থাকতে পারে, এমন একটি ব্যাখ্যাও বার করার চেষ্টা করছিলেন তিনি। হোয়াইট হাউসে জ়েলেনস্কির সঙ্গে ট্রাম্পের প্রকাশ্য বাগ্বিতণ্ডাতেও তার আভাস মিলেছিল। তবে সোমবার কিভের পাশে থাকার বার্তা দিয়ে ট্রাম্প বলেন, “আমরা ওদের (ইউক্রেনকে) আরও কিছু অস্ত্র পাঠাচ্ছি। ওদেরও তো আত্মরক্ষা করতে হবে। ওদের উপর ভীষণ হামলা হচ্ছে এখন।”