সিকিমের চিন সীমান্ত এলাকা ঘুরে দেখলেন ইস্টার্ন কম্যান্ডের জিওসি ইন সি লেফটেন্যান্ট জেনারেল মনোজ মুকুন্দ নরবনে। সোমবার তিনি শিলিগুড়ি লাগোয়া সুকনায় ৩৩ ত্রিশক্তি কোরের সদর দফতরে আসেন। সেখানে তাঁকে এই এলাকার সীমান্ত পরিস্থিতি এবং তার বর্তমান অবস্থা সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য জানানো হয়। উপস্থিত ছিলেন ৩৩ কোরের জিওসি লেফটেন্যান্ট জেনারেল সিপি মোহান্তি।
মঙ্গলবার সকালে জিওসি ইন সি সিকিমে পৌঁছন। সিকিমের মুখ্যমন্ত্রী পবন চামলিংয়ের সঙ্গে বৈঠক করেন সেনাকর্তারা। সেনাবাহিনীর সঙ্গে রাজ্য সরকারের সমন্বয় নিয়ে বৈঠক হয়েছে। সেনার অফিসারেরা জানিয়েছেন, সুকনায় কোর এবং সিকিমে ব্ল্যাক ক্যাট ডিভিশনের কর্তারা আপৎকালীন পরিস্থিতির মোকাবিলায় তাদের বাহিনী কতটা প্রস্তুত, তা পূর্বাঞ্চলীয় শীর্ষ কর্তাকে জানান। সিকিমের চিন সীমান্তের কিছু এলাকা তিনি পরিদর্শন করেন।
সেনার একটি সূত্রের মতে, ডোকলাম পরবর্তী কালে কূটনৈতিক ক্ষেত্রে উত্তেজনা প্রশমিত হলেও সামরিক প্রস্তুতির দিক থেকে ভারতকে সচেতন থাকতে হবে। ডোকলাম পরবর্তী কালে চিন সেনার একাধিক দল ভারতে এসে সেনাকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেছে। যাকে সামরিক কূটনীতির অঙ্গ বলা হলেও সীমান্তে দু’দেশ নিজেদের প্রস্তুত রাখছে। সম্প্রতি সিকিমের বিমানবন্দরে বায়ুসেনা মালবাহী বিমান নামিয়েছে। যুদ্ধকালীন পরিস্থিতিতে দ্রুত বাহিনী পাঠানোর জন্যই সেই মহড়া হয়েছে বলে সেনার একটি সূত্রের অভিমত।