স্ত্রী ও মায়ের সঙ্গে কথা বলছেন কুলভূষণ।সোমবার পাক বিদেশ মন্ত্রকের অফিসে।
গুপ্তচরবৃত্তির দায়ে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত কুলভূষণ যাদবের সঙ্গে সোমবার ইসলামাবাদে দেখা করলেন তাঁর স্ত্রী ও মা। তাঁদের কথা হল ৪০ মিনিট। তাঁদের মাঝে আড়াল ছিল একটি কাচের দেওয়ালের। সেনাবাহিনীর হাতে গ্রেফতার হওয়ার পর দেড় বছর ধরে পাকিস্তানের জেলে বন্দি রয়েছেন কুলভূষণ।
দেখা করার জন্য যখন কুলভূষণের স্ত্রী ও মা অপেক্ষা করছেন পাক বিদেশ মন্ত্রকের কার্যালয়ে, তখনই সেই ছবি দিয়ে পাক বিদেশ মন্ত্রকের টুইটে জানানো হয়, ‘‘আমরা কথা রেখেছি।’’ এ দিন ইসলামাবাদে পাক বিদেশ মন্ত্রকের কার্যালয়ে কুলভূষণের স্ত্রী চেতনকুল ও মা অবন্তীদেবীকে নিয়ে যান ভারতের ডেপুটি হাইকমিশনার জে পি সিংহ।
পরে পাক বিদেশ মন্ত্রকের তরফে সেই সাক্ষাৎ-পর্বের একটি ভিডিও প্রকাশ করা হয়। তাতে দেখা যায়, স্ত্রী ও মাকে তাঁর সঙ্গে দেখা করার অনুমতি দেওয়ার জন্য কুলভূষণ পাকিস্তান সরকারকে ধন্যবাদ জানাচ্ছেন।
দেড় বছর আগে কুলভূষণকে গ্রেফতার করার পর পাক সামরিক আদালত তাঁকে গুপ্তচরবৃত্তির দায়ে মৃত্যুদণ্ড দেয়। তার পর পাকিস্তানের জেলে বন্দি কুলভূষণের সঙ্গে দেখা করার আর্জি জানিয়েছিলেন তাঁর স্ত্রী ও মা। প্রথমে ভারত সরকারের মাধ্যমে পাঠানো সেই অনুরোধ মানতে চায়নি ইসলামাবাদ। জল গড়ায় হেগে আন্তর্জাতিক আদালত পর্যন্ত।
কুলভূষণের সঙ্গে তাঁর স্ত্রী ও মা।
আরও পড়ুন- অশান্তি বাড়াবে পাকিস্তান, আশঙ্কায় মোদী সরকার
আরও পড়ুন- আজ মা, স্ত্রীর দেখা পাবেন কুলভূষণ
পরে দিল্লির তরফে জানানো হয়, কুলভূষণের সঙ্গে তাঁর স্ত্রী ও মাকে দেখা করাতে নিয়ে যাওয়ার সময় থাকবেন ইসলামাবাদে ভারতীয় দূতাবাসের প্রতিনিধি। কিন্তু ‘দূতাবাসের প্রবেশাধিকার’ দেওয়া সম্ভব নয় বলে পাকিস্তানের তরফে জানিয়ে দেওয়া হয়েছিল। পরে বিষয়টি নিয়ে অনেক জলঘোলা হয়।
ওই সময় অবশ্য পাক বিদেশমন্ত্রী খাওয়াজা মহম্মদ আসিফ বলেছিলেন, ‘‘কুলভূষণের স্ত্রী ও মায়ের সঙ্গে এক জন ভারতীয় কূটনীতিককে দেখা করার অনুমতি দেওয়ার অর্থই হল ভারতীয় দূতাবাসকে প্রবেশাধিকার দেওয়া।’’
কুলভূষণের সঙ্গে দেখা করার আগে পাক বিদেশ মন্ত্রকের অফিসে অপেক্ষা করছেন তাঁর স্ত্রী ও মা।
সেই সুবাদেই এ দিন কুলভূষণের স্ত্রী চেতনকুল ও মা অবন্তীদেবীর সঙ্গে পাক বিদেশ মন্ত্রকের অফিসে এসেছিলেন ভারতের ডেপুটি হাইকমিশনার জে পি সিংহ।
যদিও পাক বিদেশ মন্ত্রকের তরফে সোমবার জানানো হয়েছে, ‘‘ভারতীয় দূতাবাসকে প্রবেশাধিকার দেওয়া হয়নি। জাতির জনক ‘কায়েদ-ই-আজম’ মহম্মদ আলি জিন্নার জন্মদিনে শুধু মানবিকতার খাতিরেই এই অনুমতি দেওয়া হয়েছে।’’
প্রতিবেদনে ব্যবহৃত ছবিগুলি পাক বিদেশ মন্ত্রকের সৌজন্যে টুইটার থেকে পাওয়া।