শপিং মলের বাইরে পুলিশ পাহারা। মিউনিখে। ছবি- রয়টার্স।
মিউনিখের শপিং মলে যে হামলা চালিয়ে আত্মঘাতী হয়েছে, সেই ইরানি-জার্মান তরুণ ইসলামিক স্টেটের জঙ্গি নয়। শনিবার জার্মান পুলিশ এ কথা জানিয়েছে। ওই আত্মঘাতী হামলাকারী নরওয়ের কুখ্যাত আততায়ী অ্যান্ডার্স বেহরিং ব্রেভিটের দলবলের সঙ্গে যোগসাজশ রাখত বলে পুলিশের অনুমান। ইউরোপে লাগাতার মুসলিম অনুপ্রবেশের প্রতিবাদে বছর পাঁচেক আগে নরওয়ের অসলোয় গুলি চালিয়ে ৭৭ জনকে খুন করেছিলেন ব্রেভিট। এখন রয়েছেন জেলে।
মিউনিখের শপিং মলে হামলাকারীর ঘরে তল্লাশি চালিয়ে পুলিশ তার কিছু গোপন নোটবুক ও লেখালেখি উদ্ধার করেছে। তার ঘর থেকে উদ্ধার করা হয়েছে ৯ মিলিমিটারের একটি গ্লক পিস্তল আর শ’তিনেক বুলেট।
প্রাথমিক তদন্তের পর জার্মান পুলিশের অনুমান, ওই হামলাকারী এক মহিলার ভুয়ো অ্যাকাউন্ট থেকে ফেসবুক পোস্ট করে লোকজনকে ডেকে এনেছিল মিউনিখের শপিং মলের ওই ‘ম্যাকডোনাল্ড’ রেস্তোরাঁয়। লোকজন এসে পৌঁছতেই গুলি চালাতে শুরু করে ১৮ বছর বয়সী ওই ইরানি-জার্মান তরুণ। শপিং মলে ঢোকার আগে অবশ্য আততায়ী সামনের হানাওয়া স্ট্রিটেও গুলি চালিয়েছিল। তবে তাতে কেউ হতাহত হননি।
‘অলিম্পিয়া’ শপিং মলের ওই ঘটনায় শুক্রবার ৯ জনের মৃত্যু হয়। পরে আত্মঘাতী হয় আততায়ীও। গুরুতর জখম হন কম করে ২৭ জন। নিহতদের সকলেই মিউনিখের বাসিন্দা। আর তাঁদের মধ্যে সাত জনই কিশোর। যাদের বয়স ১৩ থেকে ১৯-এর মধ্যে। এদের মধ্যে তিন জন তুরস্ক, তিন জন কসোভো আর এক জনের জন্ম গ্রিসে।
পুলিশ জানাচ্ছে, ২০১০ আর ২০১২ সালে একদল যুবকের হাতে বারদু’য়েক নিগৃহীত হয় ওই আততায়ী তরুণ। তার পর থেকে সে ভুগছিল মানসিক অবসাদে। বেশ কিছু দিন তরুণটি ছিল একটি মানসিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে।
আরও পড়ুন- মিউনিখের ঘাতক ১৮ বছরের ইরানি-জার্মান তরুণ