Conflict in Myanmar

‘সামরিক জুন্টার শাসনের ইতি টানবই’! শান্তিবৈঠক চলাকালীনই মায়ানমারের বিদ্রোহী যৌথমঞ্চের বার্তা

মায়ানমারের সামরিক জুন্টা সরকারের মুখপাত্র জ় মিন তুন রবিবার জানিয়েছিলেন, শান্তি ফেরানোর লক্ষ্যে চিনের মধ্যস্থতায় বিদ্রোহীদের সঙ্গে তাঁদের আলোচনা শুরু হয়েছে।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ১৩ ডিসেম্বর ২০২৩ ২২:৪২
Share:

বিদ্রোহী মোকাবিলায় তৎপর মায়নমার সেনা। — ফাইল চিত্র।

চিনের মধ্যস্থতায় যুদ্ধবিরতি নিয়ে আলোচনার মধ্যেই মায়ানমারের শাসক সামরিক জুন্টাকে উৎখাত করার ডাক দিল বিদ্রোহীদের যৌথমঞ্চ ‘ব্রাদারহুড অ্যালায়েন্স’। বুধবার তারা এক বিবৃতিতে বলেছে, ‘‘মায়ানমারের বর্তমান পরিস্থিতির জন্য দায়ী সেনা জুন্টার স্বৈরচারী শাসন। এর অবসান না ঘটানো পর্যন্ত আমাদের লড়াই চলবে।’’

Advertisement

মায়ানমারের সামরিক জুন্টা সরকারের মুখপাত্র জ় মিন তুন রবিবার জানিয়েছিলেন, শান্তি ফেরানোর লক্ষ্যে চিনের মধ্যস্থতায় বিদ্রোহীদের সঙ্গে তাঁদের আলোচনা শুরু হয়েছে। বিদ্রোহীদের সঙ্গে জু্ন্টার ওই বৈঠকে চিনের মধ্যস্থতা ‘তাৎপর্যপূর্ণ’ বলে মনে করছেন কূটনৈতিক এবং সামরিক পর্যবেক্ষকদের একাংশ। তাঁদের মতে এর ফলে অদূর ভবিষ্যতে ‘স্থিতিশীলতা’ ফেরানোর অছিলায় মায়ানমারে চিনা পিললস লিবারেশন আর্মি (পিএলএ) ঢুকতে পারে। কিন্তু বুধবার ‘ব্রাদারহুড অ্যালায়েন্স’-এর ঘোষণায় পুরো পরিস্থিতি ‘অন্য মাত্রা’ পেল বলে মনে করছেন তাঁরা।

মায়ানমারের তিন বিদ্রোহী গোষ্ঠী— ‘তাঙ ন্যাশনাল লিবারেশন আর্মি’ (টিএনএলএ), ‘আরাকান আর্মি’ (এএ) এবং ‘মায়ানমার ন্যাশনাল ডেমোক্র্যাটিক অ্যালায়েন্স আর্মি’ (এমএনডিএএ)-র নয়া জোট ‘ব্রাদারহুড অ্যালায়্যান্স’ নভেম্বর থেকে সেনা জুন্টার বিরুদ্ধে লড়াই শুরু করেছে। ইতিমধ্যেই সে দেশের প্রায় অর্ধেক বিদ্রোহীদের দখলে চলে গিয়েছে। তিন সংগঠনের জোটের পাশাপাশি বিদ্রোহী গোষ্ঠী ‘চিন ন্যাশনাল আর্মি’ (সিএনএ) এবং চায়নাল্যান্ড ডিফেন্স ফোর্স (সিডিএফ), ‘কাচিন লিবারেশন ডিফেন্স ফোর্স’ (কেএলডিএফ), পিপল’স ডিফেন্স ফোর্স (পিডিএফ)-ও শামিল হয়েছে জুন্টা বিরোধী যুদ্ধে। মায়ানমারের গণতন্ত্রপন্থী শক্তির স্বঘোষিত সরকার ‘ন্যাশনাল ইউনিটি গভর্নমেন্ট’, জুন্টা বিরোধী রাজনৈতিক দল ‘শান স্টেট প্রোগ্রেস পার্টি’ বিদ্রোহী সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলির প্রতি সমর্থন জানিয়েছে। গৃহযুদ্ধের জেরে ঘরছাড়া হয়েছেন লক্ষাধিক মানুষ। তাঁদের মধ্যে পাঁচ হাজারেরও বেশি মায়ানমারের নাগরিক আশ্রয় নিয়েছেন মিজ়োরামে।

Advertisement
(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন