মোদী এখন আমার মেয়েরও বন্ধু: ট্রাম্প

দিওয়ালিকে প্রথমে বৌদ্ধ, শিখ, জৈনদের উৎসব বলে উল্লেখ করলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। নেটিজেনরা ভুল ধরিয়ে দিতেই সেটা মুছে ফেললেন প্রেসিডেন্ট। আবার লিখলেন, আবার মুছতে হল।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

ওয়াশিংটন শেষ আপডেট: ১৫ নভেম্বর ২০১৮ ০৫:১০
Share:

‘বন্ধু’ মোদীর প্রশংসায় মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।

হোয়াইট হাউসে আসার পর-পরই নরেন্দ্র মোদীকে ‘বন্ধু’ বলেছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। আবার বললেন। সঙ্গে জুড়ে দিলেন— ‘‘এখন তো উনি আমার মেয়ে ইভাঙ্কারও ভাল বন্ধু হয়ে উঠেছেন।’’ মেয়েকে সঙ্গে নিয়ে কাল হোয়াইট হাউসে দিওয়ালি পালন করছিলেন ট্রাম্প। সঙ্গে ছিলেন এক ঝাঁক ভারতীয় বংশোদ্ভূত মার্কিন কর্মকর্তাও। সেখানে প্রথমে মোদী এবং তার পরে ভারতের ভূয়সী প্রশংসা করলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। জানালেন, ভারতের সঙ্গে ব্যবসা বাড়াতে চায় আমেরিকা। চান, যৌথ সম্পর্ক আরও পোক্ত হোক। আর তার পরেই জড়িয়ে পড়লেন বিতর্কে। টুইটারে দিওয়ালির শুভেচ্ছা জানাতে গিয়ে বাদ দিয়ে বসলেন ‘হিন্দু’-দেরই!

Advertisement

দিওয়ালিকে প্রথমে বৌদ্ধ, শিখ, জৈনদের উৎসব বলে উল্লেখ করলেন। নেটিজেনরা ভুল ধরিয়ে দিতেই সেটা মুছে ফেললেন প্রেসিডেন্ট। আবার লিখলেন, আবার মুছতে হল। তৃতীয় বার বয়ান পাল্টে লিখলেন, ‘‘হোয়াইট হাউসে হিন্দুদের এই আলোর উৎসব উদ্‌যাপন করতে পেরে আমি সম্মানিত।’’ উৎসব শেষের এক সপ্তাহ পরে শুভেচ্ছাও জানালেন। কিন্তু ‘হিন্দুদের উৎসব থেকে হিন্দুদেরই বাদ দিয়ে দিলেন’! প্রশ্ন তুললেন বিরোধী শিবিরের একাংশ থেকে শুরু করে নেটিজেনরাও। জবাব দেওয়ার মতো করেই নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক হোয়াইট হাউসের এক কর্তা জানালেন, পুরোটাই যান্ত্রিক ত্রুটি। সব গন্ডগোল ভাঙা-টুইটেই!

হোয়াইট হাউসে প্রথম বার দিওয়ালি পালন করেন প্রেসিডেন্ট জর্জ ডব্লিউ বুশ। ২০০৩-এ। তার পর থেকে এটা বার্ষিক উৎসব হয়ে দাঁড়িয়েছে। এ বারই প্রথম আমেরিকায় নিযুক্ত ভারতীয় রাষ্ট্রদূতকে দিওয়ালির অনুষ্ঠানে ডেকে পাঠান প্রেসিডেন্ট।

Advertisement

‘ভারতীয়দের জন্যই এ দেশের লোকেরা চাকরি পাচ্ছেন না’— গোড়া থেকেই এমনটা বলে আসছেন প্রেসিডেন্ট। কাল উৎসবের মেজাজে অবশ্য তাঁকে ভারতীয়দের প্রশংসা করতেই শোনা গিয়েছে। ট্রাম্প বললেন, ‘‘ভারত এবং দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার অন্য দেশ থেকে আসা কঠোর পরিশ্রমী কর্মীদের পেয়ে আমাদের দেশ ভাগ্যবান। আমরা সবাই এখন একটা মার্কিন পরিবারেরই অংশ।’’ তাঁর প্রশাসনে কর্মরত ভারতীয় বংশোদ্ভূত কর্তাদের নাম ধরে-ধরে প্রশংসাও করেন প্রেসিডেন্ট। তার পরেই আসেন বাণিজ্য-সহ ভারতের সঙ্গে সার্বিক দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কে। বলেন, ‘‘ভারতের সঙ্গে ভাল ব্যবসা করতে আমরা চেষ্টার ত্রুটি রাখছি না। তবে ভারতীয়েরা দরাদরিতে খুব দড়। ব্যবসাটা খুব ভাল বোঝেন। তবু আমি আশাবাদী। পারস্পরিক সম্পর্কের দিক থেকে আমরা এখন খুব ভাল জায়গায়।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন