গত সেপ্টেম্বরে নেপালের রাস্তায় পতাকা হাতে ভিড় নেপালের বিক্ষুব্ধদের। — ফাইল চিত্র।
নেপালে সাধারণ নির্বাচনের নির্ঘণ্ট ঘোষণা করে দিল সে দেশের নির্বাচন কমিশন। গত সেপ্টেম্বর মাসে তরুণ প্রজন্ম (জেন জ়ি)-এর বিক্ষোভের জেরে নেপালে পতন হয় কেপি শর্মা ওলির সরকারের। ওই গণবিক্ষোভের দু’মাস কাটতে না কাটতেই এ বার ভোটের দিনক্ষণ জানিয়ে দিল নেপালের নির্বাচন কমিশন। আগামী ৫ মার্চ নেপালে নির্বাচন হবে। জানুয়ারি মাসে হয়ে যাবে মনোনয়ন পর্ব।
গণবিক্ষোভের জেরে গত ৯ সেপ্টেম্বের নেপালে পতন হয় ওলি সরকারের। সরকার পতনের তিন দিন পরে সে দেশের সুপ্রিম কোর্টের প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি সুশীলা কার্কী অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধানমন্ত্রী হিসাবে শপথ নেন তিনি। ওই সময়েই নেপালের প্রেসিডেন্টের দফতর থেকে ঘোষণা করা হয়েছিল, আগামী ৫ মার্চ নির্বাচন হবে। এ বার নির্বাচন কমিশনের ঘোষণায় তাতেই সিলমোহর পড়ল। একই সঙ্গে সিলমোহর পড়ল, অন্তর্বর্তী সরকারের ভারপ্রাপ্ত প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যেও।
দায়িত্বগ্রহণের পরে প্রথম প্রতিক্রিয়াতেই নিজের অবস্থান বুঝিয়ে দিয়েছিলেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান। কার্কী স্পষ্ট করে দিয়েছিলেন, ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্য তিনি দায়িত্ব নেননি। মানুষকে সেবা করার জন্যই দায়িত্ব নিয়েছেন। গত ১২ সেপ্টেম্বর শপথ নেওয়ার পরে কার্কী বলেছিলেন, “আমরা এখানে ক্ষমতার স্বাদ নিতে আসিনি। আমরা ছ’মাসের বেশি পদে থাকব না। নতুন পার্লামেন্টকে দায়িত্ব দিয়ে দেব। আপনাদের সমর্থন ছাড়া থাকব না।’’
নভেম্বরের শুরুর দিক থেকেই নির্বাচনের জন্য প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছিলেন কার্কী। নির্বাচন সংক্রান্ত বিষয়ে নেপালের সব প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে প্রস্তুতি বৈঠক সেরেছেন। আসন্ন নির্বাচন প্রসঙ্গে রাজনৈতিক দলগুলির মতামত জানতে চেয়েছেন সুশীলা। সেই মতো প্রস্তুতিও শুরু করে দিয়েছেন তিনি। এ বার নেপালের নির্বাচন কমিশন জানিয়ে দিল, আগামী ২০ জানুয়ারি মনোনয়ন জমা নেওয়া হবে। ওই দিনই বিকেলে প্রার্থীদের নামের তালিকা প্রকাশ করে দেবে কমিশন। কোনও প্রার্থীর বিরুদ্ধে অভিযোগ জানাতে হলে, তা ২১ জানুয়ারির মধ্যে করে ফেলতে হবে। মনোনয়ন প্রত্যাহারের শেষ তারিখ ২৩ জানুয়ারি। ওই দিনই বিকেলে চূড়ান্ত প্রার্থীদের চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ করবে কমিশন। তার পরে আগামী ৫ মার্চ ভোটগ্রহণ হবে। ভোটগ্রহণ পর্ব চলবে সকাল ৭টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত।