International News

সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেল না কোনও দলই, ত্রিশঙ্কু ব্রিটেনে জোটের ভাবনা

মে-র কনজারভেটিভ পার্টি এগিয়ে থাকলেও একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করতে পারেনি। ফলে ত্রিশঙ্কু হয়ে রইল ব্রিটিশ পার্লামেন্ট।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

শেষ আপডেট: ০৯ জুন ২০১৭ ১২:৫১
Share:

ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী টেরেসা মে। ছবি: এএফপি।

শেষমেশ ঝুলেই রইল ব্রিটেনের ভাগ্য। জনসমীক্ষা বলেছিল, সমর্থন কমলেও এ বারের নির্বাচনে পাল্লা ভারী টেরেসা মে দিকেই। কিন্তু শুক্রবার সকালে ফল ঘোষণা হতেই ছবিটা বদলাতে শুরু করে। মে-র কনজারভেটিভ পার্টি এগিয়ে থাকলেও একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করতে পারেনি। ফলে ত্রিশঙ্কু হয়ে রইল ব্রিটিশ পার্লামেন্ট।

Advertisement

এ দিন মোট ৬৫০টি আসনের মধ্যে ৬৪৯টির ফল ঘোষণা হওয়ার পর দেখা যায় ৩১৮টি আসন পেয়েছে কনজারভেটিভ পার্টি। অন্য দিকে, জেরেমি বার্নার্ড করবিনের লেবার পার্টি পেয়েছে ২৬১টি। স্কটিশ ন্যাশনাল পার্টি পেয়েছে ৩৫টি এবং টিম ফ্যারনের লিবারেল ডেমোক্র্যাট পেয়েছে ১২টি। ডেমোক্র্যাটিক ইউনিয়ানিস্ট পার্টি পেয়েছে ১০টি আসন। গত বারের তুলনায় এ বারে লেবার পার্টির আসন বাড়লেও ম্যাজিক ফিগার থেকে অনেকটাই দূরে তারা। পার্লামেন্টের হাউস অব কমন্সে সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণ করতে কনজারভেটিভ পার্টির দরকার আরও ৮টি আসন। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, থেরেসা মে সে ক্ষেত্রে যদি লিবারেল ডেমোক্র্যাট-এর সমর্থন পান, তা হলেই সরকার গঠন সম্ভব হবে। গোটা নির্বাচনের নাটকীয় মোড় এখানেই। দোরগোড়ায় এসেও একক সংখ্যগরিষ্ঠতা না পাওয়ায় ব্রিটেনের সঙ্গে মে-রও ভাগ্য ঝুলে রইল। এ বারের নির্বাচনে কোনও দল সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাবে কিনা নির্বাচনের পর পরই সে বিষয়ে সংশয় প্রকাশ করেছিলেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা। তাঁদের সে আশঙ্কাই সত্যি হল।

আরও পড়ুন: আনুগত্য চেয়েছিলেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প, সাক্ষ্য পেশ কোমির

Advertisement

এক দিকে লেবার পার্টির কর্পোরেট সংস্থাগুলোর উপর বেশি কর চাপিয়ে সেই টাকা সামাজিক-সুরক্ষা খাতে খরচের প্রস্তাব। অন্য দিকে, সরকারি ঋণ কমিয়ে সামাজিক সুরক্ষা খাতে ব্যয়ভার কাঁটছাঁটের প্রস্তাব নিয়ে এ বারের নির্বাচনের লড়াইয়ে নেমেছিল কনজারভেটিভ পার্টি। ব্রিটেনবাসী টেরেসা মে-র প্রতি আস্থা রাখলেও, সমালোচকরা বলছেন পূর্ণ আস্থা রাখতে পারেননি বলেই ব্রিটেনের ভাগ্য ঝুলে রইল।


লেবার পার্টির নেতা জেরেমি করবিন। ছবি: রয়টার্স।

ব্রেক্সিটের পরে দেশের স্থিতিশীলতা মজবুত করার কথা বলে গত এপ্রিলে তড়িঘড়ি ভোট এগিয়ে আনার কথা ঘোষণা করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী টেরেসা মে। সেই অনুযায়ী আজ সকাল ৭টা থেকে দেশের ৪০ হাজারের বেশি কেন্দ্রে শুরু হয়েছে ভোটগ্রহণ। বৈদ্যুতিন ভোটিং যন্ত্র না থাকায় এখনও ব্যালট পেপারেই ভোট হয় ব্রিটেনে। রাত ১০টা পর্যন্ত চলে ভোটদান প্রক্রিয়া। এ বার প্রায় ৪ কোটি ৭০ লক্ষ মানুষ ভোট দিচ্ছেন ব্রিটেনে। তাঁদের মধ্যে রয়েছেন ১৫ লক্ষ ভারতীয়।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন