Tacoma General Hospital

১০০ ছুঁই ছুঁই, তাও জন্মদিনে কর্তব্যে অবিচল বিশ্বের প্রবীণতম নার্স

গত বুধবারই তাঁর ৯৪ তম জন্মদিন ছিল। কিন্তু কাজ পাগল এই মহিলা সেদিনও ছুটি নেননি। হাসপালের চিকিত্সক অন্যান্য কর্মীদের সঙ্গেই পালন করলেন।

Advertisement

নিজস্ব প্রতিবেদন

কলকাতা শেষ আপডেট: ১৩ মে ২০১৯ ১৯:১৮
Share:

৯৪ তম জন্মদিনে হাসপাতালে ফ্লোরেন্স। ছবি টুইটার থেকে নেওয়া।

বয়স ৯৪। ১৯৪৬ সাল থেকে হাসপাতালে নার্সের কাজ করে যাচ্ছেন। তাঁর বক্তব্য, যত দিন না হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তাড়িয়ে দিচ্ছেন, ততদিন তিনি কাজ করে যাবেন। ফ্লোরেন্স ‘সিসি’রিগনের অবসর নেওয়ার নাকি কোনও ইচ্ছেই নেই। তাই জন্মদিনও পালন করলেন হাসপাতালেই।

Advertisement

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটনের ট্যাকোমা জেনারেল হাসপাতালের নার্সের কাজ করেন ফ্লোরেন্স। মনে করা হয় তিনিই এখন বিশ্বের প্রবীণতম কর্মরত নার্স। গত বুধবারই তাঁর ৯৪ তম জন্মদিন ছিল। কিন্তু কাজ পাগল এই মহিলা সেদিনও ছুটি নেননি। হাসপালের চিকিত্সক অন্যান্য কর্মীদের সঙ্গেই পালন করলেন।

জন্মদিনে তাঁর সহকর্মীরা তাঁকে একটা রিবন লাগানো নকল হিরের মুকুট উপহার দিয়েছেন। তাতে আবার লেখা ‘বার্থডে গার্ল’। উপহার পেয়ে তিনি বেশ খুশি বলে জানিয়েছেন ফ্লোরেন্স। সেই সঙ্গে তিনি মজা করে বলছেন, ওরা ভুল করছে, ৯৪ নয় এটা আমার ৪৯তম জন্মদিন।

Advertisement

ফ্লোরেন্স নিজেই জানেন না তিনি কবে অবসর নেবেন। সম্প্রতি তিনি নার্সিংয়ের লাইসেন্স রিনিউও করিয়েছেন। তবে এমন নয় তিনি অবসরের কথা কখনও ভাবেননি। ভেবে ছিলেন, অবসর নিয়েও ছিলেন। ১৯৯০ সালে তিনি একবার অবসর নিয়েছিলে বটে কিন্তু কয়েক মাসের মধ্যেই ফের ফিরে আসেন হাসপাতালে। কাজে যোগ দেন। যত দিন বাঁচবেন ততদিন তিনি এই নার্সিংয়ের কাজ করে যাবেন বলে জানিয়েছেন ফ্লোরেন্স।

আরও পড়ুন : প্রতি শনিবার অপারেশন করেন এই প্রধানমন্ত্রী

আরও পড়ুন : ভিডিয়ো গেম খেললে এবার ফিট থাকবেন

ফ্লোরেন্স জানিয়েছেন, হাসপাতালটি তাঁর দ্বিতীয় ঘর হয়ে গিয়েছে। অবসর জীবন যাপন করা তাঁর ধাতে নেই। তাই তিনি নিজেকে ব্যস্ত রাখতেই হাসপাতালে আসেন। তার ওপর যদি উপরি পাওনা হিসেবে বেতনও মিলে যায় তবে মন্দ কী?

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন