International

‘চট্টগ্রামের জল্লাদ’-এর ফাঁসির নিন্দায় সর্বসম্মত পাক পার্লামেন্ট

যে দেশের ভাষা, সংস্কৃতিকে এক দিন গলা টিপে মারতে চেয়েছিল পাকিস্তান, সে দেশ থেকে বিতাড়িত হয়েও তাকে ভুলতে পারেনি। ভুলতে পারেনি সেই মুষ্টিমেয় বেইমান বঙ্গসন্তানদেরও, যারা পাকিস্তানের পক্ষ নিয়ে চরম নিষ্ঠুরতায় ঝাঁপিয়ে পড়েছিল মুক্তিযুদ্ধকে পিষে মারতে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

ঢাকা শেষ আপডেট: ০৮ সেপ্টেম্বর ২০১৬ ১২:৪১
Share:

ফাইল চিত্র।

যে দেশের ভাষা, সংস্কৃতিকে এক দিন গলা টিপে মারতে চেয়েছিল পাকিস্তান, সে দেশ থেকে বিতাড়িত হয়েও তাকে ভুলতে পারেনি। ভুলতে পারেনি সেই মুষ্টিমেয় বেইমান বঙ্গসন্তানদেরও, যারা পাকিস্তানের পক্ষ নিয়ে চরম নিষ্ঠুরতায় ঝাঁপিয়ে পড়েছিল মুক্তিযুদ্ধকে পিষে মারতে। বারবার এর প্রমাণ দিয়ে চলেছে ইসলামাবাদ। মির কাসেম আলির ফাঁসির নির্দেশ কার্যকর হওয়ার রাতেই বাংলাদেশের কড়া সমালোচনা করেছিল পাক বিদেশ মন্ত্রক। এ বার সেই মৃত্যুদণ্ডের বিরুদ্ধে সর্বসম্মতভাবে নিন্দাপ্রস্তাব গৃহীত হল সে দেশের পার্লামেন্টে।

Advertisement

রেডিও পাকিস্তানকে উদ্ধৃত করে ডন পত্রিকা জানিয়েছে, পাকিস্তান পার্লামেন্টের বর্ষীয়ান জনপ্রতিনিধি শের আকবর খান বুধবার এই নিন্দা প্রস্তাবটি উত্থাপন করেন। স্পিকার সর্দার আয়াজ সাদিক নিন্দাপ্রস্তাবটি ভোটাভুটিতে দিলে তা সর্বসম্মতভাবে পাস হয়। বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে পাকিস্তান বারবার এ ভাবে নাগ গলানোর চেষ্টা করায়, ঢাকা যারপরনাই বিরক্ত এবং ক্ষুব্ধ।

একাত্তরের যুদ্ধাপরাধী এবং জামাতে ইসলামি নেতা, ধনকুবের মির কাসেম আলির ফাঁসি দেওয়া হয় গত শনিবার। ফাঁসির পরপরই প্রকাশ করা পাক বিদেশ মন্ত্রকের বিবৃতিতে বলা হয়, “বাংলাদেশের প্রখ্যাত জামাতে ইসলামি নেতা মির কাসেম আলিকে, ডিসেম্বর ১৯৭১-এর আগের অপরাধের অভিযোগে, ত্রুটিপূর্ণ বিচার প্রক্রিয়ার মাধ্যমে যে ভাবে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হল পাকিস্তান তাতে গভীরভাবে মর্মাহত।” আরও বলা হয়, “ত্রুটিপূর্ণ বিচারের মাধ্যমে যে ভাবে বিরোধীদের দমন করা হচ্ছে তা গণতান্ত্রিক চেতনার সম্পূর্ণ বিরুদ্ধে।”

Advertisement

ইসলামাবাদের এই বিবৃতিকে অযাচিতভাবে বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ বলেই দেখছে ঢাকা। পাক বিবৃতি দেখার পরই রবিবার ঢাকায় নিযুক্ত পাকিস্তানের ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রদূত সামিনা মেহতাবকে তলব করে বাংলাদেশ বিদেশ মন্ত্রক। ইসলামাবাদকে তার রাষ্ট্রদূতের মাধ্যমে কড়া বার্তা পাঠিয়ে বলা হয়, বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে তারা নাক গলানো বন্ধ করুক। কিন্তু তার পরেও থামেনি পাকিস্তান। পার্লামেন্টে সর্বসম্মত নিন্দাপ্রস্তাব গ্রহণ করে আবারও সহানুভূতি জানালো একাত্তরের জল্লাদবাহিনীর প্রতি।

এর আগে যুদ্ধাপরাধী মতিউর রহমান নিজামি এবং সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর মৃত্যুদণ্ডের পরও পাকিস্তান একই রকম ভাবে তার সমালোচনায় মুখর হয়েছিল।

আরও পড়ুন:
কাসেমের ফাঁসিতে ‘মর্মাহত’ পাকিস্তান! নাক গলাতে বারণ করল বাংলাদেশ

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন