Pakistan Afghanistan Clash

সবেতে সম্মতি, কেবল একটি ‘না’-তে ফের ভেস্তে গেল পাক- আফগান শান্তিবৈঠক! হামলার হুঁশিয়ারি দিল ইসলামাবাদ

পাকিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী খোয়াজা আসিফ শান্তিবৈঠকের অচলাবস্থার কথা জানিয়ে ফের কাবুলকে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন। অভিযোগ, সব প্রস্তাবে উভয় পক্ষের সম্মতি মিলেছে। কিন্তু একটি ‘না’ আলোচনা ভেস্তে দিয়েছে।

Advertisement

আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক

শেষ আপডেট: ০৮ নভেম্বর ২০২৫ ১১:৩৪
Share:

পাকিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী খোয়াজা আসিফ আফগানিস্তানকে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন। গ্রাফিক: আনন্দবাজার ডট কম।

আফগানিস্তান এবং পাকিস্তানের শান্তিবৈঠক ফের ভেস্তে গেল। গত বৃহস্পতিবার থেকে তুরস্কের ইস্তানবুলে দুই দেশের প্রতিনিধিরা আলোচনায় বসেছিলেন। তৃতীয় দফার এই আলোচনায় লাভ হল না। সংঘর্ষবিরতি নিয়ে দু’পক্ষ একমত হতে পারেনি বলে জানিয়েছে সংবাদসংস্থা পিটিআই। পাকিস্তানের তরফেও আনুষ্ঠানিক ভাবে তা জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। যদিও কাবুল এখনও কোনও মন্তব্য করেনি।

Advertisement

পাকিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী খোয়াজা আসিফ শান্তিবৈঠকের অচলাবস্থার কথা জানিয়ে ফের কাবুলকে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন। পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যমে একটি সাক্ষাৎকারে তিনি জানান, সংঘাতের কোনও সুরাহা হয়নি। সংঘর্ষবিরতি তত দিনই চলবে, যত দিন আফগানিস্তানের মাটি থেকে পাকিস্তানে আর কোনও হামলা না-হচ্ছে। যদি আবার হামলা হয়, তবে পাকিস্তান পাল্টা জবাব দেবে।

তৃতীয় দফার আলোচনায় ঠিক কী ঘটেছিল? ব্যাখ্যা করেছেন আসিফ। তিনি জানান, প্রায় সব ক্ষেত্রেই পাকিস্তান এবং আফগানিস্তান একমত হয়েছিল। কেবল একটি ‘না’ আলোচনা ভেস্তে দিয়েছে। আসিফের কথায়, ‘‘তুরস্ক এবং কাতার আমাদের অবস্থানকে সমর্থন করে। এমনকি, আফগান প্রতিনিধিরাও সম্মত হয়েছিলেন। কিন্তু এ বিষয়ে কোনও লিখিত সম্মতিপত্রে স্বাক্ষর করতে তাঁরা রাজি হননি। সেই কারণেই আলোচনা ভেস্তে গেল। ওঁরা চেয়েছিলেন, মৌখিক সম্মতি গ্রহণযোগ্য হোক। কিন্তু আন্তর্জাতিক কোনও আলোচনায় তা সম্ভব নয়।’’

Advertisement

পাকিস্তান এবং আফগানিস্তানের মধ্যে শান্তিবৈঠকের মধ্যস্থতা করছে কাতার ও তুরস্ক। আসিফের দাবি, এই দুই দেশও আশাহত হয়েছে। অভিযোগ, কাবুলের প্রতিনিধিদের শান্তি স্থাপনের সদিচ্ছা ছিল না। তাই পাকিস্তানকে তাঁরা এক বারও আটকাননি। তাঁরাও সংঘাতের পথেই হাঁটতে চাইছেন বলে মত পাক প্রতিরক্ষামন্ত্রীর। তিনি বলেন, ‘‘আমাদের একটাই দাবি ছিল, আফগানিস্তানের ভূখণ্ড ব্যবহার করে পাকিস্তানে যাতে কোনও হামলা চালানো না হয়, তা কাবুলকে নিশ্চিত করতে হবে। যদি এর পর আবার কোনও হামলা হয়, আমরা জবাব দেব।’’

পাকিস্তানে দীর্ঘ দিন ধরে সক্রিয় তেহরিক-ই-তালিবান পাকিস্তান (টিটিপি)। তারা আফগানিস্তানে ক্ষমতাসীন তালিবানের একটি শাখা সংগঠন। অভিযোগ, পাকিস্তানে একাধিক সন্ত্রাসবাদী হামলার নেপথ্যে রয়েছে এই গোষ্ঠী। কিন্তু কাবুল তাদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপে রাজি নয়। গত অক্টোবর মাসের শুরুর দিকে এ নিয়ে দুই দেশ সংঘাতে জড়িয়ে পড়েছিল। আপাতত সংঘর্ষবিরতি চলছে। তবে আলোচনায় সুরাহা না-হওয়ায় তা এখন আরও নড়বড়ে হয়ে পড়ল। দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্যিক লেনদেনও বন্ধ রয়েছে। যে কারণে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম বাড়ছে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement