ইউনিসেফ জানাচ্ছে, গোটা বিশ্বে ২০০০ সালের পর থেকে উল্লেখযোগ্য ভাবে বেড়েছে সদ্যোজাতের মৃত্যুর হার। ইউনিসেফ এবং ইন্টার-এজেন্সি গ্রুপ অব চাইল্ড মরটালিটি এসটিমেসন (আইজিএমই)-এর ২০১৬-১৭-র রিপোর্ট অনুযায়ী আর্থিক ভাবে দুর্বল দেশগুলিতে প্রতি ১ হাজার জনের মধ্যে গড়ে ২৭ জন এবং উচ্চ আয় বা অপেক্ষাকৃত বেশি আর্থিক সঙ্গতি সম্পন্ন দেশগুলিতে প্রতি ১ হাজার জনের মধ্যে ৩ জন নবজাতকের মৃত্যু হয়।
নবজাতক মৃত্যুর হারে শীর্ষে রয়েছে পাকিস্তান। প্রতি ১ হাজার জন শিশুর মধ্যে জন্মের সময় বা জন্মের প্রথম মাসের মধ্যে মৃত্যু হয় ৪৫ জন শিশুর। দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে মধ্য আফ্রিকান রিপাবলিক (প্রতি ২৪ জন শিশুর মধ্যে ১ জন) এবং তৃতীয় আফগানিস্তান (প্রতি ২৫ জনের মধ্যে ১ জন)।
প্রথম দশে না থাকলেও, সদ্যোজাত মৃত্যুর হারে পিছিয়ে নেই ভারতও। ইউনিসেফের রিপোর্ট অনুযায়ী, প্রতি ১ হাজার জন নবজাতকের মধ্যে অন্তত ২৫ জনের মৃত্যু হয় এ দেশে।
ইউনিসেফ বলছে, পাকিস্তানের পরেই সদ্যোজাতদের জন্য সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ আফ্রিকার সাহারার বেশ কয়েকটি জায়গা। দারিদ্র, উপযুক্ত প্রসব পদ্ধতি এবং চিকিৎসার অভাবে সেখানে জন্মের সঙ্গে সঙ্গেই বেশির ভাগ শিশুর মৃত্যু হয়। তা ছাড়া প্রথম পাঁচে রয়েছে সোমালিয়া, লেসোথো এবং গিনি।
উচ্চ আয়ের দেশ না হলেও শ্রীলঙ্কায় শিশু মৃত্যুর হার অনেক কম (প্রতি হাজারে মৃত্যু হয় ৫ জনের)। বিশ্বের মধ্যে শিশু মৃত্যু সবচেয়ে কম হয় জাপানে (প্রতি ১ হাজার ১১১ জনে ১ জন)। কম শিশু মৃত্যুর হারে দ্বিতীয় এবং তৃতীয় স্থানে রয়েছে আইসল্যান্ড এবং সিঙ্গাপুর।
ফিনল্যান্ডেও শিশু মৃত্যুর হার অনেক কম (প্রতি ৮৩৩ জনে মৃত্যু হয় ১ জনের)। ফিনল্যান্ড রয়েছে চতুর্থ স্থানে। পঞ্চমে রয়েছে দু’টি দেশ এসটোনিয়া এবং স্লোভেনিয়া (প্রতি ৭৬৯ জনে ১ জন)।
ইউনিসেফের রিপোর্টে প্রথম দশে না থাকলেও শিশু মৃত্যুর হার চিন, ব্রিটেন এবং মার্কিন যুক্তরাষ্টেও অনেক কম। ২০১৬-১৭-র রিপোর্ট অনুযায়ী প্রতি ১ হাজার জন শিশুর মধ্যে চিনে ৯ জন, ব্রিটেনে ৪ জন এবং মার্কিন মুলুকে ৬ জনের মৃত্যু হয়।
ইউনিসেফ বলছে, বিশ্বের মধ্যে ৮০ শতাংশ শিশুর মৃত্যু হয় সময়ের আগে প্রসব, প্রসবকালীন জটিলতা, উপযুক্ত চিকিৎসা পদ্ধতির অভাবে। তা ছাড়া, নিউমোনিয়া এবং সেপসিসের মতো সংক্রমণ জনিত কারণেও জন্মের পর বেশির ভাগ শিশুর মৃত্যু হয়।