পাকিস্তানের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। —ফাইল চিত্র।
পাকিস্তানের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের জামিনের আবেদন মঞ্জুর করল সে দেশের সুপ্রিম কোর্ট। গত ৯ মে হিংসার ঘটনায় তাঁর বিরুদ্ধে অনেক মামলা দায়ের হয়েছিল। তেমন মোট আটটি মামলায় বৃহস্পতিবার জামিন পেয়েছেন ইমরান। তবে এখনই তাঁর জেলমুক্তি হচ্ছে না। কারণ এখনও অনেক মামলা বিচারাধীন। পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যম জিও নিউজ় এবং ডন এই তথ্য জানিয়েছে।
২০২৩ সালের মে মাসে ইসলামাবাদ হাই কোর্ট চত্বর থেকে গ্রেফতার করা হয়েছিল পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) প্রধান ইমরানকে। তার পর দেশ জুড়ে ব্যাপক হট্টগোল হয়। পিটিআই সমর্থকেরা প্রতিবাদে শামিল হন, যা বহু শহরে হিংসাত্মক আকার নিয়েছিল। শুধু লাহৌরেই ১০ হাজার বিক্ষোভকারীকে গ্রেফতার করতে হয়েছিল। ওই ঘটনার পর আরও মামলা হয় ইমরানের বিরুদ্ধে। পরে আল কাদির ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় দোষী সাব্যস্ত করে পাকিস্তানের আদালত ইমরানকে ১৪ বছরের কারাদণ্ড দেয়। তাঁর স্ত্রী বুশরা বিবির সাত বছরের জেল হয়েছে। দু’জনেই এখন কারাবাসে।
এই পরিস্থিতিতে বৃহস্পতিবারের রায়কে ‘জয়’ হিসাবেই দেখছে পিটিআই। তাদের তরফে সমাজমাধ্যমে পোস্ট করে জানানো হয়েছে, সুপ্রিম কোর্টের এই রায় ‘ইমরান খানের জয়’। এ ছাড়া ইমরানের একটি ভিডিয়োবার্তাও পোস্ট করা হয়েছে। সেখানে তাঁকে বলতে শোনা গিয়েছে, ‘‘একটা কথা সবসময় মাথায় রাখবেন। যখন রাত সবচেয়ে অন্ধকার হয়, তার অর্থ হল সকাল আসতে আর দেরি নেই।’’ দলের সমর্থকদের উদ্দেশে এই বার্তা দিয়েছেন ইমরান।
এর আগে গত ২৪ জুন লাহৌর হাই কোর্ট এই মামলায় ইমরানের জামিনের আবেদন খারিজ করে দিয়েছিল। সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে গিয়েছিলেন প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী। শীর্ষ আদালতের প্রধান বিচারপতি ইয়াইয়া আফ্রিদি, বিচারপতি মুহাম্মদ শফি সিদ্দিকি এবং বিচারপতি মিয়াঙ্গুল হাসান ঔরঙ্গজ়েবের বেঞ্চ আটটি মামলায় তাঁর জামিনের আবেদন মঞ্জুর করেছে। অতীতে আদালত চত্বর থেকে ইমরানের গ্রেফতারিকে পাকিস্তানের সুপ্রিম কোর্ট ‘অবৈধ’ বলেছিল। লাহৌর হাই কোর্ট সেই সময় তাঁর জামিন মঞ্জুর করেছিল। কিন্তু রাষ্ট্রদ্রোহ-সহ একাধিক অন্য মামলায় তখন ইমরান জেল থেকে মুক্তি পাননি। ২০১৮ সালের অগস্ট থেকে ২০২২ সালের এপ্রিল মাস পর্যন্ত ইমরান পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী পদে ছিলেন।