হঠাৎ করেই উদ্বেগটা বেড়ে গিয়েছে পাকিস্তানের! কী হয়, কী হয় দুশ্চিন্তায় কার্যত ঘুম ছুটে গিয়েছে নওয়াজ শরিফের দেশের!
ইসলামাবাদের ‘নতুন বন্ধু’ রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের যতই ‘কাছের লোক’ হোন না কেন, ভাবী মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে নিয়ে বড্ড চিন্তায় রয়েছে পাকিস্তান। উদ্বেগটা আমেরিকার ভাব-ভালবাসার দাঁড়িপাল্লার দোদুল্যমানতা নিয়ে! ট্রাম্পের বিজয়োল্লাস দেখে প্রমাদ গুনে ইসলামাবাদ ভাবতে শুরু করেছে, দ্বিতীয় পর্বের শেষ দিকে ওবামা প্রশাসন যে পথে হেঁটেছিল, সেই পথে হেঁটেই বুঝি ভাবী মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ঝুঁকে পড়বেন ভারতের দিকে। আর সেই ঝুঁকে পড়াটা হয়তো আগের চেয়ে একটু বেশিই হবে। কারণ, পুতিনের রাশিয়ার সঙ্গে বন্ধুত্ব বজায় রাখতে গিয়ে হয়তো ‘চিনের খপ্পরে’ পড়ার আগ্রহ-উৎসাহে আরও ভাটা পড়বে ট্রাম্পের। সে ক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক পটভূমিতে পাকিস্তানের পাশে দাঁড়ানো চিনের গলার স্বরটা যদি একটু কমিয়ে দেওয়া সম্ভব হয় ট্রাম্প-পুতিনের যৌথ প্রচেষ্টায়, তা হলেও আখেরে লাভটা হবে ভারতেরই। উরি হামলার ঘটনার পর থেকেই পাকিস্তানের প্রতি আমেরিকার ভাব-ভালবাসার ঘাটতিটা অন্তত প্রকাশ্যেই দেখা-বোঝা যাচ্ছে। কুর্সি ছেড়ে যাওয়ার আগে সন্ত্রাসবাদকে মদত দেওয়ার প্রশ্নে বেশ কয়েক বার ইসলামাবাদকে ধমক-ধামক দিয়ে যাচ্ছেন বিদায়ী মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা।
পাকিস্তানের রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের আশঙ্কা, ট্রাম্প জমানায় এটা আরও বাড়বে। প্রচারের সময়েই তার ইঙ্গিত মিলেছে। ভারতের ওপর বার বার সন্ত্রাসবাদী হামলার ঘটনায় গভীর সহানুভূতি প্রকাশ করেছেন ট্রাম্প। ক্ষমতাসীন হওয়ার পর ভারতের হাতে হাত মিলিয়ে চলার ব্যাপারে যেচেই আগ্রহ দেখিয়েছেন ভাবী মার্কিন প্রেসিডেন্ট।
আরও পড়ুন- ট্রাম্পের হাত ধরেই পাকিস্তানকে আরও চাপে ফেলতে চায় ভারত