Protest in France

‘নতুন প্রধানমন্ত্রীকে মানব না’! সর্বত্র অবরোধের ডাক ফ্রান্সে, চলছে ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ, এ পর্যন্ত ২০০ জন গ্রেফতার

বাসে আগুন ধরানো থেকে শুরু করে ট্রেনের বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেওয়ার মতো বিচ্ছিন্ন ঘটনা ঘটেছে ফ্রান্স জুড়ে। সে দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ব্রুনো রিটেইলউয়ের অভিযোগ, বিক্ষোভকারীরা ‘বিদ্রোহের পরিবেশ’ সৃষ্টি করার চেষ্টা করেছিলেন।

Advertisement

আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক

শেষ আপডেট: ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ১৬:২২
Share:

ফ্রান্সে বিক্ষোভ। ছবি: রয়টার্স।

অশান্ত হয়ে উঠল ফ্রান্স। বুধবার সকাল থেকে প্যারিস-সহ দেশের বিভিন্ন শহরে অশান্তির আগুন ছড়ায়। শয়ে শয়ে বিক্ষোভকারী পথে নামেন। তাঁদের প্রশ্ন, কেন সেবাস্তিয়ান লেকর্নুরকে ফ্রান্সের নতুন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে বেছে নিয়েছেন সে দেশের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ। অশান্তি ঠেকাতে পুলিশকে কাঁদানে গ্যাস ছুড়তে হয়েছে। পুলিশের দিকে পাল্টা ইটবর্ষণও হয়। সব মিলিয়ে পরিস্থিতি ক্রমশ উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। সংবাদ সংস্থা এপি সূত্রে খবর, সকাল থেকে অন্তত ২০০ জন বিক্ষোভকারীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

Advertisement

‘সব অবরোধ করো’, এই দাবি তুলে বুধবার পথে নামেন প্রতিবাদীরা। অনলাইনেই এই প্রতিবাদের ডাক দেওয়া হয়েছিল। তবে এই আন্দোলনের কোনও নেতৃত্ব প্রকাশ্যে আসেননি। পরিস্থিতি সামাল দিতে অতিরিক্ত বাহিনী নামানো হয়। প্রতিবাদীদের আটকাতে ব্যারিকেড দেওয়া হয় রাস্তার বিভিন্ন জায়গায়। পুলিশের তৎপরতায় বিক্ষোভের আঁচ বেশি ছড়াতে না পারলেও বিক্ষিপ্ত অশান্তির খবর মিলেছে।

বাসে আগুন ধরানো থেকে শুরু করে ট্রেনের বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেওয়ার মতো বিচ্ছিন্ন ঘটনা ঘটেছে ফ্রান্স জুড়ে। সে দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ব্রুনো রিটেইলউয়ের অভিযোগ, বিক্ষোভকারীরা ‘বিদ্রোহের পরিবেশ’ সৃষ্টি করার চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু তা ব্যর্থ করা সম্ভব হয়েছে।

Advertisement

গত কয়েক বছর ধরেই ফ্রান্সে নাগরিকদের দৈনন্দিন খরচ বাড়ছে। মূলত এই অর্থনৈতিক সঙ্কটকে হাতিয়ার করেই সুর চড়িয়েছিল অতি দক্ষিণপন্থী ন্যাশনাল র‌্যালি। শুধু তা-ই নয়, দেশের বিভিন্ন প্রান্তে নানা সময়েই অশান্তির ঘটনা ঘটেছে। আন্দোলনকারীদের নিশানায় ছিলেন ফ্রান্সের সদ্যপ্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ফ্রাঁসোয়া বেরু। এই পরিস্থিতিতে বেরু নিজেই ভোটাভুটির দিকে যান। অনাস্থা ভোটের আগে, তিনি তাঁর আর্থিক এবং ভবিষ্যতের পরিকল্পনার কথা জানান ও তাঁকে সমর্থন করার আবেদনও করেন। কিন্তু আবেদনে কোনও ফল হয়নি। সোমবার ফরাসি আইনসভার ৫৭৭ সদস্যের মধ্যে ৩৩১ জন সদস্য বেরুর প্রতি ‘অনাস্থা’ জানান। পদত্যাগ করতে বাধ্য হন বেরু। গত বছরের ডিসেম্বরে প্রধানমন্ত্রী হন বেরু। ন’মাসেরও কম সময়ের মধ্যে সোমবার ‘আস্থা’ ভোটে হারেন তিনি। এই নিয়ে দু’বার ‘অনাস্থা’ ভোটে পর পর দুই প্রধানমন্ত্রী পরাজিত হলেন ফ্রান্সে। প্রসঙ্গত, গত বছরের ৪ ডিসেম্বর ফরাসি পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষ ‘ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলি’তে আস্থাভোটে পরাজিত হন তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী মাইকেল বার্নিয়ের। তাঁর বিরুদ্ধে এককাট্টা ছিলেন বামপন্থী এবং অতি দক্ষিণপন্থী সদস্যেরা। তাঁর উত্তরসূরি হিসাবে বেছে নেওয়া হয় বেরুকে। তবে তিনিও বেশি দিন ক্ষমতায় থাকতে পারলেন না।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement