Russia-Ukraine Peace Deal

ইউক্রেনের মানচিত্র বদলাতেই হবে! ট্রাম্প-পুতিন বৈঠকের আগে ঘোষণা করল রাশিয়া, কী কী এলাকা তাদের চাই-ই

রাশিয়া এবং ইউক্রেন উভয় দেশকেই কিছু কিছু জায়গা ছাড়তে হবে বলতে ট্রাম্প কী বোঝাতে চেয়েছেন, তা স্পষ্ট নয়। এরই মধ্যে যুদ্ধ থামানো নিয়ে আমেরিকার সঙ্গে বসার আগে নিজেদের দাবি ফের স্পষ্ট করল রাশিয়া।

Advertisement

আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক

শেষ আপডেট: ১৩ অগস্ট ২০২৫ ২১:২৮
Share:

গ্রাফিক: আনন্দবাজার ডট কম।

ইউক্রেনের মানচিত্রই বদলে ফেলতে চাইছে রাশিয়া! প্রায় তিন বছর ধরে চলে আসা যুদ্ধে ইতি টানতে এ বার নিজেদের শর্ত ফের স্পষ্ট করে দিল মস্কো। ইউক্রেনের যে এলাকাগুলিতে বর্তমানে রাশিয়ার নিয়ন্ত্রণ রয়েছে, সেই জায়গাগুলি ছেড়ে দিতে হবে ইউক্রেনকে। পাশাপাশি আমেরিকার নেতৃত্বাধীন সামরিক জোট নেটোর সদস্যও হতে পারবে না কিভ।

Advertisement

আগামী শুক্রবার আলাস্কায় রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন এবং মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বৈঠকের কথা রয়েছে। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ থামানোর বিষয়েই মূলত ওই বৈঠক হবে। ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জ়েলেনস্কি চাইছিলেন অন্তত ভার্চুয়ালি হলেও যাতে ওই বৈঠকে কিভের প্রতিনিধিত্ব থাকে। তবে হোয়াইট হাউস ইতিমধ্যে স্পষ্ট করে দিয়েছে, এই বৈঠক ত্রিপাক্ষিক নয়। যুদ্ধ থামাতে রাশিয়ার সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকেই বসছেন ট্রাম্প। সম্প্রতি এক সাংবাদিক বৈঠকেও ট্রাম্প দাবি করেছেন, যুদ্ধবিরতির জন্য রাশিয়া এবং ইউক্রেন— দু’দেশকেই কিছু কিছু জায়গা ছেড়ে দিতে হবে।

পুতিন গত বছরেই জানিয়ে দিয়েছিলেন, যু্দ্ধ থামাতে হলে রাশিয়া অধিকৃত এলাকা ছেড়ে দিতে হবে ইউক্রেনকে। এ বার ট্রাম্প-পুতিন বৈঠকের আগে ফের নিজেদের দাবি স্পষ্ট করে দিল রাশিয়া। বর্তমানে, ইউক্রেনের ১৯ শতাংশ ভূখণ্ডে রাশিয়ার নিয়ন্ত্রণ রয়েছে। অর্থাৎ, ইউক্রেনের প্রায় এক পঞ্চমাংশ বর্তমানে রাশিয়ার দখলে। এর মধ্যে রয়েছে সমগ্র ক্রাইমিয়া এবং লুহান্‌স্ক এলাকা। পাশাপাশি ডনেৎস্ক, জ়াপোরিঝিয়া এবং খেরনসের প্রায় ৭০ শতাংশ এলাকাতেও রুশ নিয়ন্ত্রণ রয়েছে। এ ছাড়া খারকিভ, সামি, মিকোলিভ এবং নিপ্রোপেট্রোভস্কের কিছু কিছু অঞ্চলও মস্কোর দখলে আছে।

Advertisement

রাশিয়া এবং ইউক্রেন উভয় দেশকেই কিছু কিছু জায়গা ছাড়তে হবে বলতে ট্রাম্প কী বোঝাতে চেয়েছেন, তা স্পষ্ট নয়। এ বিষয়ে বিস্তারিত কোনও মন্তব্য করেননি তিনি। তবে ট্রাম্পের মন্তব্যের পরে মার্কিন সংবাদমাধ্যমগুলিতে ব্যাখ্যা করা হচ্ছিল, হয়ত পুতিন নিজের অবস্থান থেকে সরে এসেছেন। বুধবার এ বিষয়ে প্রশ্ন করা হয় রুশ বিদেশ মন্ত্রকের উপমুখপাত্র অ্যালেক্সি ফাদিভকে। রাশিয়া পূর্বঘোষিত অবস্থান থেকে সরে এসেছে কি না, তা জানতে চাওয়া হয়। জবাবে তিনি স্পষ্ট করে দেন, রাশিয়ার অবস্থান এক বছর আগে যা ছিল, এখনও তা-ই রয়েছে।

তবে ইউক্রেনও বার বার স্পষ্ট করে দিয়েছে, তারা নিজেদের ভূখণ্ডে রুশ আগ্রাসন কোনও ভাবেই মেনে নেবে না। এই অবস্থায় জ়েলেনস্কির অনুপস্থিতিতে ট্রাম্প-পুতিন বৈঠক ইউক্রেনের বিপক্ষে যেতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন অনেকে। ইউরোপীয় ইউনিয়নের অনেক দেশও সেই আশঙ্কাই করছে। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে বুধবার জ়েলেনস্কির সঙ্গে ভার্চুয়াল বৈঠক হতে পারে ট্রাম্পের। ইউরোপীয় ইউনিয়নের নেতারাও ওই ভার্চুয়াল বৈঠকে যোগ দিতে পারেন বলে সূত্রের খবর। ট্রাম্পের সঙ্গে ওই বৈঠকে যুদ্ধবিরতির ক্ষেত্রে ইউক্রেনের স্বার্থ সংক্রান্ত বিষয়গুলি তুলে ধরতে পারেন জ়েলেনস্কি এবং তাঁর ইউরোপীয় ইউনিয়নের বন্ধুরা।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement