Joe Biden

USA-Russia: আক্রমণের মুখে পুতিনের পাল্টা চাপ বাইডেনকে

চলতি বছরের গোড়া থেকে তাদের সীমান্তে রাশিয়া অন্তত এক লক্ষ সেনা মোতায়েন করে রেখেছে বলে অভিযোগ করে আসছে ইউক্রেন।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

শেষ আপডেট: ০৯ ডিসেম্বর ২০২১ ০৬:৫০
Share:

ফাইল চিত্র।

প্রত্যাশা মতোই ভিডিয়ো বৈঠকে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে ইউক্রেনের বিরুদ্ধে সামরিক আগ্রাসন নিয়ে কড়া হুঁশিয়ারি দিয়ে রাখলেন আমেরিকান প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। উল্টো দিকে, নেটো বাহিনীর সমরাস্ত্র মোতায়েন নিয়ে পাল্টা বাইডেনকে চাপ দিয়েছেন পুতিনও।

Advertisement

গত কাল দুই রাষ্ট্রপ্রধানের বৈঠক চলেছে টানা দু’ঘণ্টা। ইরানের পরমাণু কর্মসূচি, বিশ্বের শক্তিধর দেশগুলির পরমাণু নিরস্ত্রীকরণের মতো বিষয়ে দুই নেতা আলোচনা করলেও ভার্চুয়াল বৈঠকে কাল প্রথম থেকেই প্রাধান্য পেয়েছে রাশিয়া-ইউক্রেন সীমান্ত সমস্যা। চলতি বছরের গোড়া থেকে তাদের সীমান্তে রাশিয়া অন্তত এক লক্ষ সেনা মোতায়েন করে রেখেছে বলে অভিযোগ করে আসছে ইউক্রেন। যে কোনও সময়ে মস্কো তাদের উপরে হামলা চালিয়ে গোটা ইউক্রেন দখল করে নেবে বলেও আশঙ্কা প্রকাশ করেছে কিভ। দু’দেশের সীমান্তে স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে মধ্যস্থতাকারীর ভূমিকা নিতে দেখা গিয়েছে আমেরিকাকে। মূলত সেই জন্যই কালকের ভিডিয়ো কনফারেন্সের আয়োজন করা হয়েছিল।

বৈঠকের পরে হোয়াইট হাউসের তরফে একটি বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘‘প্রেসিডেন্ট বাইডেনের প্রশাসন এব‌ং তাঁর ইউরোপীয় মিত্র শক্তি ইউক্রেন সীমান্তে রুশ আগ্রাসন নিয়ে অত্যন্ত উদ্বিগ্ন। রাশিয়াকে বলা হয়েছে, সামরিক আগ্রাসনের নীতি ছেড়ে অবিলম্বে কূটনৈতিক আলোচনার রাস্তায় হাঁটতে। না হলে রাশিয়ার বিরুদ্ধে বড়সড় আর্থিক নিষেধাজ্ঞা জারি করা হবে।’’ ওই মুখপাত্র আরও জানাচ্ছেন, ২০১৪ সাল থেকে রাশিয়ার বিরুদ্ধে যে সব আর্থিক নিষেধাজ্ঞা আমেরিকা মুলতুবি করে রেখেছে, সেগুলিকে ফিরিয়ে আনার কথাও ভেবে রেখেছেন প্রেসিডেন্ট বাইডেন। প্রয়োজনে স্থগিত রাখা হতে পারে জার্মানির সঙ্গে রাশিয়ার গ্যাস সরবরাহ চুক্তিও। ওই চুক্তি স্থগিত হয়ে গেলে আন্তর্জাতিক বাণিজ্যে বড় ধাক্কা খাবে রাশিয়া সরকার। পুতিনের সঙ্গে কথার বলার পর পরই ব্রিটেন, ফ্রান্স ও ইটালির রাষ্ট্রপ্রধানদের সঙ্গে ফের ফোনে কথা বলেন বাইডেন।

Advertisement

তবে আক্রমণের মুখে পড়ে চুপ থাকেননি পুতিনও। ইউক্রেন প্রতি পদে মিনস্ক চুক্তি লঙ্ঘন করে আসছে বলে অভিযোগ করেছে মস্কো। রুশ প্রেসিডেন্টের বিদেশ নীতি বিষয়ক উপদেষ্টা ইউরি উশাকভ মস্কোয় সাংবাদিক বৈঠকে আরও এক বার স্পষ্ট করেছেন, ইউক্রেন দখলের কোনও অভিপ্রায়ই নেই মস্কোর। তারা সীমান্তে যে সেনা মোতায়েন করেছে, তা ইউক্রেন ও তার মিত্র শক্তির আক্রমণের হাত থেকে বাঁচতে। ভবিষ্যতে ইউক্রেন নেটো বাহিনীতে যোগ দিতে পারে বলেও আশঙ্কা প্রকাশ করেছে রাশিয়া। যদিও বাইডেন জানিয়েছেন, নেটোতে যোগ দিতে যে যে যোগ্যতা পূরণ করা দরকার, তার থেকে এখন ঢের পিছিয়ে রয়েছে কিভ। তবে প্রেসিডেন্ট পুতিন বাইডেনের কাছ থেকে কার্যত গ্যারান্টি চেয়ে রেখেছেন যে নেটো বাহিনী যেন রাশিয়ার পূর্ব সীমান্তে তাঁদের বিরুদ্ধে আগ্রাসন নীতি না নেয়।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement
Advertisement