Russia-Ukraine War

সন্ধান নেই খেরসনের বহু বাসিন্দার, রুশ সেনার বিরুদ্ধে গণহত্যার প্রমাণ খুঁজছে ইউক্রেন

আমেরিকায় ইয়েল বিশ্ববিদ্যালয়ের মানবাধিকার সম্পর্কিত গবেষক দলের একটি রিপোর্ট উদ্ধৃত করে রয়টার্স জানিয়েছে, খেরসনের বহু নাগরিককে গ্রেফতার করে জেলে পাঠানো হয়েছিল। তাঁদের অনেকেই নিখোঁজ।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

কিভ শেষ আপডেট: ১৯ নভেম্বর ২০২২ ১৩:৪১
Share:

ছবি: রয়টার্স।

অভিযোগ উঠেছে ইতিমধ্যেই। তবে এখনও খেরসনে রুশ বাহিনীর গণহত্যার প্রমাণ দিতে পারেনি ইউক্রেন। যদিও সদ্য রুশ দখলমুক্ত অঞ্চলের বহু ইউক্রেনীয় নাগরিকের খোঁজ মেলেনি এখনও।

Advertisement

গত কয়েক মাসে রাশিয়ার সেনা পিছু হটে যাওয়ার পরে কিভের অদূরে বুচা, বোরোডিয়াঙ্কা, খারকিভের উপকণ্ঠের ইজ়িয়ুমের মতো একাধিক শহরে গণকবরের সন্ধান মিলেছে। যুদ্ধাপরাধের অভিযোগ উঠেছে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের বাহিনীর বিরুদ্ধে। ইউক্রেন সেনার প্রত্যাঘাতে চলতি মাসের গোড়ায় দক্ষিণ ইউক্রেনের খেরসন থেকে সেনা প্রত্যাহার শুরু করেছে রাশিয়া। তার পরেই ওই এলাকা থেকে বহু নাগরিকের নিখোঁজ হওয়ার অভিযোগ আসতে শুরু করেছে।

গত ২৪ ফেব্রুয়ারি পুতিন ইউক্রেনের বিরুদ্ধে সেনা অভিযানের ঘোষণার পর তাঁর বাহিনীর হাতে প্রথম এসেছিল দক্ষিণ ইউক্রেনের এই প্রাদেশিক রাজধানী-সহ গোটা খেরসন প্রদেশ। সেপ্টেম্বরে ডনেৎস্ক ও লুহানস্কের (একত্রে এই দুই অঞ্চলকে ডনবাস বলা হয়) পাশাপাশি গত সপ্তাহে জ়াপোরিজিয়া ও খেরসনের অধিকৃত অঞ্চলে গণভোট করিয়ে সেগুলিকে রাশিয়ার সঙ্গে সংযুক্তির ঘোষণা করেন রুশ প্রেসিডেন্ট। কিন্তু গত ১০ অক্টোবর থেকে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জ়েলেনস্কির অনুগত বাহিনীর প্রত্যাঘাতে খেরসনের বিস্তীর্ণ এলাকা রুশ ফৌজের হাতছাড়া হয়ে গিয়েছিল। এই পরিস্থিতিতে নভেম্বরের গোড়ায় রুশ সেনার জেনারেল সের্গের সুরভিকিন খেরসন থেকে সরে যাওয়ার ঘোষণা করে বলেন, ‘‘আপাতত আমরা ডিনিপ্রো নদীর পশ্চিম তীর থেকে সরে আসছি।’’

Advertisement

আমেরিকায় ইয়েল বিশ্ববিদ্যালয়ের মানবাধিকার সম্পর্কিত গবেষক দলের একটি রিপোর্ট উদ্ধৃত করে সংবাদ সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, গণভোট-পর্বের সময় থেকেই খেরসনের বহু নাগরিককে গ্রেফতার করে জেলে পাঠানো হয়েছিল। এখনও পর্যন্ত তাঁদের মধ্যে কয়েকশো মানুষ নিখোঁজ। এই পরিস্থিতিতে আবার গণকবরের সন্ধান মেলার আশঙ্কা করছে ইউক্রেন।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন