(বাঁ দিকে) সলমন রুশদি। হাদি মাতার (ডান দিকে)। —ফাইল চিত্র।
ভারতীয় বংশোদ্ভূত লেখক সলমন রুশদির উপর হামলাকারী হাদি মাতারের বিচার শুরু হল আমেরিকায়। জেলবন্দি হাদিকে মঙ্গলবার নিউ ইয়র্ক আদালতে পেশ করা হয়। তদন্তকারী সংস্থার তরফে প্রত্যক্ষদর্শীদের বয়ান-সহ নানা তথ্যপ্রমাণ পেশ করা হয় আদালতে। অন্য দিকে হাদির আইনজীবী জানিয়েছেন, তাঁর মক্কেল নির্দোষ।
২০২২ সালের ১২ অগস্ট, নিউ ইয়র্কের শিটোকোয়া ইনস্টিটিউটে আয়োজিত একটি সাহিত্যসভায় রুশদির উপর হামলার ঘটনা ঘটেছিল। সে দিন হাদির উপর্যুপরি ছুরির আঘাতে মঞ্চেই লুটিয়ে পড়েছিলেন বুকারজয়ী লেখক। সঙ্গে সঙ্গে তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় হাসপাতালে। দেওয়া হয়েছিল ভেন্টিলেশনে। দীর্ঘ চিকিৎসার পরে সুস্থ হয়ে উঠলেও ‘দ্য স্যাটানিক ভার্সাস’-এর লেখক ছুরির কোপে একটি চোখের দৃষ্টি হারিয়েছেন। একটি হাতও অকেজো হয়ে গিয়েছে। স্থায়ী ভাবে জখম হয়েছে ঘাড়ের স্নায়ুও।
হাদির বিরুদ্ধে ‘খুনের চেষ্টা’ ও ‘সশস্ত্র হামলা’র অভিযোগ আনা হয়েছে। দু’টি অভিযোগেই দোষী সাব্যস্ত হলে আমেরিকার আইন অনুযায়ী তাঁর ৩০ বছর বা বেশি জেলের সাজা হতে পারে। আশির দশকে আলি খোমেইনির পূর্বসূরি আয়াতোল্লা খোমেইনির জমানায় উপন্যাস ‘দ্য স্যাটানিক ভার্সেস’ লেখার ‘অপরাধে’ রুশদির বিরুদ্ধে ‘মৃত্যু ফতোয়া’ জারি করা হয়েছিল। মৌলবাদী হামলার ভয়ে এক দশকেরও বেশি সময় আত্মগোপন করতে হয়েছিল রুশদিকে। প্রকাশ্যে আসার পরেও নিরাপত্তার ঘেরাটোপে থাকতেন তিনি। তাঁর উপর প্রাণঘাতী হামলা চালানো হাদির জন্য ইরানের সর্বোচ্চ ধর্মীয় গুরু খোমেইনির নামাঙ্কিত ট্রাস্টের তরফে হাজার বর্গফুট জমি পুরস্কার ঘোষণা করা হয়েছে।