হোয়াইট হাউস। — ফাইল চিত্র।
সকাল সকাল হুলস্থুল হোয়াইট হাউসে! নিরাপত্তা বেষ্টনীর ওপার থেকে আচমকা উড়ে এল ফোন। যার জেরে এলাকা জুড়ে জারি হল ‘লকডাউন’। নিরাপত্তার স্বার্থে বেশ কিছু ক্ষণের জন্য বন্ধ রাখতে হল হোয়াইট হাউসের কাজও।
স্থানীয় সময় অনুযায়ী, মঙ্গলবার বেলা ১১টা নাগাদ ঘটনাটি ঘটে। আচমকা কোনও অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তি নর্থ লনের নিরাপত্তা বেষ্টনীর উপর দিয়ে একটি মোবাইল ফোন ছোড়েন বলে হোয়াইট হাউস সূত্রের খবর। সঙ্গে সঙ্গে পদক্ষেপ করে মার্কিন সিক্রেট সার্ভিস। গোটা এলাকায় কিছু ক্ষণের জন্য লকডাউন জারি করা হয় , যার ফলে হোয়াইট হাউস প্রাঙ্গণ সম্পূর্ণ অবরুদ্ধ হয়ে পড়ে। সিক্রেট সার্ভিস এজেন্টরা দ্রুত গোটা এলাকা ঘিরে ফেলেন। সাময়িক ভাবে যান চলাচল জন্য বন্ধ করে দেওয়া হয় পেনসিলভেনিয়া অ্যাভিনিউতেও। নিরাপত্তার কথা মাথায় রেখে উপস্থিত সাংবাদিকদেরও জেমস এস ব্র্যাডি ব্রিফিং রুমে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়।
হোয়াইট হাউসের প্রেস সচিব ক্যারোলিন লেভিট পরে জানিয়েছেন, মঙ্গলবার দুপুরে হোয়াইট হাউসের কাজ চলাকালীন নিরাপত্তা বেষ্টনীর ওপার থেকে অজ্ঞাতপরিচয় এক ব্যক্তি তাঁর নিজের ফোন হোয়াইট হাউস চত্বরে ছুড়ে ফেলেন। ওই ব্যক্তির খোঁজ চালানো হচ্ছে। কোন উদ্দেশে ফোন ছুড়ে ফেলা হল, তা খতিয়ে দেখছেন গোয়েন্দারা। এই ঘটনার পর নিরাপত্তা আরও আঁটসাঁট করা হয়েছে। ইতিমধ্যে ওই সময়ের বেশ কয়েকটি ছবি ও ভিডিয়োও সমাজমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে (সেগুলির সত্যতা যাচাই করেনি আনন্দবাজার ডট কম)। তাতে দেখা যাচ্ছে, গোটা এলাকা ঘিরে ফেলা হয়েছে। হোয়াইট হাউসের বাইরে উদ্বিগ্ন মুখে দাঁড়িয়ে রয়েছেন আধিকারিকেরা।
শেষমেশ স্থানীয় সময় অনুযায়ী সকাল ১১টা ৫৬ মিনিট নাগাদ লকডাউন তুলে নেওয়া হয়। ধীরে ধীরে ফের আগের ছন্দে শুরু হয় কাজ। মঙ্গলবারের এই ঘটনায় কোনও ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি। এখনও পর্যন্ত হোয়াইট হাউসের তরফে ঘটনার বিষয়ে কোনও আনুষ্ঠানিক বিবৃতিও প্রকাশ করা হয়নি। তবে ইতিমধ্যেই বিভিন্ন মহলে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে হোয়াইট হাউসের নিরাপত্তাব্যবস্থা নিয়ে।