মার্কিন ড্রোন। ছবি- সংগৃহীত।
আকাশসীমা লঙ্ঘন করলে আমেরিকাকেও রেয়াত করবে না পাকিস্তান। এমন হলে অন্য দেশের তো বটেই, গুলি করে মার্কিন ড্রোনও নামিয়ে দেবে পাকিস্তানের বিমানবাহিনী।
তাঁর বাহিনীকে এমনই নির্দেশ দিয়েছেন সম্প্রতি পাক বিমানবাহিনীর প্রধান এয়ার চিফ মার্শাল সোহেল আমান।
আমান বলেছেন, ‘‘আমরা কাউকেই আমাদের আকাশসীমা লঙ্ঘন করতে দেব না। বিমানবাহিনীকে বলেছি, এমন ঘটনা ঘটলে ড্রোনগুলিকে গুলি করে মাটিতে নামাতে। দেশের সার্বভৌমত্ব ও সংহতি বিপন্ন করে যদি মার্কিন ড্রোন আকাশসীমা লঙ্ঘন করলে তাদেরও রেয়াত করা হবে না।’’
আরও পড়ুন- জেরুসালেম: ধিকিধিকি আগুনে ঘি ঢালছেন ট্রাম্প
আরও পড়ুন- জেরুসালেম: অনড় ট্রাম্প, নিরপেক্ষ দিল্লি
ঘটনাচক্রে আফগানিস্তানের সীমান্তের কাছে পাকিস্তানের একটি উপজাতি অধ্যুষিত এলাকায় সপ্তাহদু’য়েক আগে মার্কিন ড্রোন হামলা চালিয়েছিল জঙ্গিদের একটি গোপন আস্তানায়। তাতে তিন জঙ্গির মৃত্যু হয়।
পাক বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ভারতের প্রতিবেশী দেশের সেনাবাহিনীর একটি বড় অংশের ওপর বরাবরই কর্তৃত্ব রয়েছে মৌলবাদীদের। তাই দেশের উপজাতি এলাকায় জঙ্গিদের গোপন আস্তানার ওপর মার্কিন ড্রোন হামলার সপ্তাহদু’য়েকের মধ্যেই পাক বিমানবাহিনীর প্রধানের এই নির্দেশ। এটা আসলে ওয়াশিংটনকে বার্তা দেওয়া হল।
চলতি সপ্তাহেই মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থা সেন্ট্রাল ইন্টেলিজেন্স এজেন্সি (সিআইএ)-র প্রধান মাইক পম্পিও হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন, ইসলামাবাদ যদি পাক ভূখণ্ডে ঘাঁটি গাড়া সন্ত্রাসবাদীদের নির্মূল করতে চোখে পড়ার মতো কোনও ব্যবস্থা না নেয়, তা হলে কী ভাবে জঙ্গিদের শায়েস্তা করতে হয়, তা ওয়াশিংটনই বুঝে নেবে।
পাক বিশেষজ্ঞদের বক্তব্য, পম্পিও আসলে ওসামা বিন লাদেন বধের অভিযানের মতোই কোনও মার্কিন অভিযানের ইঙ্গিত দিয়েছিলেন। পাক বিমানবাহিনীর প্রধানের নির্দেশ পম্পিওর হুঁশিয়ারিকেও বার্তা দিল বলে বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন।
২০০৪ থেকে এ বছরের নভেম্বর পর্যন্ত পাকিস্তানে যতগুলি মার্কিন ড্রোন হানাদারির ঘটনা ঘটেছে, তার সবগুলিই করিয়েছে সিআইএ।