গভর্নর-লড়াইয়ে কৃষ্ণাঙ্গ স্টেসি

নভেম্বরে মিড টার্ম ভোট। জর্জিয়ার গভর্নরের পদে ২০০৩ সাল থেকে কোনও ডেমোক্র্যাটকে দেখা যায়নি। স্টেসি সেই লক্ষ্যেই এগোচ্ছেন।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

আটলান্টা শেষ আপডেট: ২৪ মে ২০১৮ ০৩:৪৫
Share:

একটু একটু করে এগোচ্ছেন তিনি। জর্জিয়ায় আইনসভার প্রাক্তন সদস্য এবং কৃষ্ণাঙ্গ লেখিকা স্টেসি এব্রামস ডেমোক্র্যাট পার্টির তরফে জর্জিয়ায় প্রাইমারিতে জিতেছেন মঙ্গলবার।

Advertisement

নভেম্বরে মিড টার্ম ভোট। জর্জিয়ার গভর্নরের পদে ২০০৩ সাল থেকে কোনও ডেমোক্র্যাটকে দেখা যায়নি। স্টেসি সেই লক্ষ্যেই এগোচ্ছেন। ৪৪ বছর বয়সি এই নেত্রী জর্জিয়া থেকে নির্বাচিত হলে এই প্রথম সেখানে গভর্নরের পদে বসবেন কোনও মহিলা। একই সঙ্গে, কোনও কৃষ্ণাঙ্গ আমেরিকার দক্ষিণের এই প্রদেশের শাসনভার হাতে তুলে নেবেন।

জর্জিয়ার মতো কেন্টাকি, আরকান্‌স এবং টেক্সাসেও ভোটে মহিলা-মুখ নজর কেড়েছে। কেন্টাকির প্রাইমারিতে জয় হয়েছে প্রাক্তন যুদ্ধ-বিমানচালক এমি ম্যাকগ্রাথের। তিনিও বলেন, ‘‘এটা স্পষ্ট যে মানুষ চাইছেন, মহিলারা আরও বেশি করে ক্ষমতায় আসুন।’’ আমেরিকায় এখন বিভিন্ন প্রদেশের গভর্নরের দায়িত্বে ছ’জন মহিলা আছেন। স্টেসি-এমিরা সেই তালিকাটা লম্বা করবেন বলে আশা অনেকেরই।

Advertisement

পাঁচ ভাইবোনের সঙ্গে মিসিসিপির গাল্ফপোর্টে বেড়ে উঠেছিলেন স্টেসি। কিশোর বয়সে বাবা-মায়ের সঙ্গে চলে আসেন জর্জিয়ার আটলান্টায়। এখানে হাইস্কুলে প্রথম কৃষ্ণাঙ্গ মার্কিন মেয়ে হিসেবে বিদায়ী বক্তৃতা দিয়ে শিরোনামে আসেন। এর পরে টেক্সাস বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তরের পড়াশোনা। আইনের ডিগ্রি পান ইয়েল বিশ্ববিদ্যালয় থেকে। চলেছে সেলেনা মন্টগোমরি ছদ্মনামে ‘রোম্যান্টিক রহস্য উপন্যাস’ লেখাও। আটটি উপন্যাস লিখেছেন তিনি।

২০০৬ সালে জর্জিয়ার স্টেট হাউস অব রিপ্রেজেন্টেটিভস-এ প্রথম নির্বাচিত হন স্টেসি। ২০১৬ সালের

ডেমোক্র্যাটদের ন্যাশনাল কনভেনশনেও অন্যতম ভূমিকা নিয়েছিলেন তিনি। আর্থিক সাম্যের কথা বলে, কৃষ্ণাঙ্গ মহিলা হিসেবে নিজের অভিজ্ঞতা তুলে ধরে ডেমোক্র্যাটিক প্রার্থী হিলারি ক্লিন্টনের সমর্থনে বক্তৃতা দিয়েছিলেন স্টেসি।

মঙ্গলবার প্রাইমারিতে জয়ের পরে ফেসবুকে স্টেসি দাবি করেছেন, জর্জিয়ার ভবিষ্যৎ তিনিই। পরে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি বলেন, জর্জিয়া যে এগোচ্ছে, তাঁর মনোনয়নই তার প্রমাণ। তাঁর কথায়, ‘‘জর্জিয়ার ইতিহাসের পরবর্তী অধ্যায় লিখছি আমরা। কারও কথা শোনা হবে না, কাউকে দেখা হবে না, কেউ অনুপ্রাণিত হবে না— সেই দিন শেষ।’’ আটলান্টায় এখন অভিবাসীদের সংখ্যা বাড়ছে। কৃষ্ণাঙ্গ মার্কিনদের কেন্দ্র হিসেবেও উঠে আসছে এই শহর। কিন্তু জর্জিয়ার বেশির ভাগ গুরুত্বপূর্ণ পদেই এখনও রিপাবলিকানদের দাপট। অ-শ্বেতাঙ্গ ভোটব্যাঙ্ককে হাতিয়ার করে সেই ছবিটাই পাল্টে দিতে চান স্টেসি।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন