ফের আইএস-এর আত্মঘাতী হামলায় রক্তাক্ত হল বাগদাদ। এ বার কারাদায় জোরাল বিস্ফোরণ ঘটালো ওই জঙ্গিগোষ্ঠী। বিস্ফোরণে নিহত হয়েছেন ৮২ জন। আহত দেড়শোরও বেশি। রবিবার ভোরের আলো ফুটতেই কারাদায় রমজানের কেনাকাটায় ব্যস্ত ছিলেন মানুষ। ভরা বাজারে রেফ্রিজারেটর বোঝাই একটি ট্রাকে হঠাত্ই জোরালো বিস্ফোরণ ঘটে। মুহূর্তে ছিন্নভিন্ন হয়ে যায় বাজার করতে আসা মানুষগুলির দেহ। বিস্ফোরণের পরই একটি ওয়েবসাইটে হামলার দায় স্বীকার করে আইএস জঙ্গি সংগঠন। ইরাকের যে সব অঞ্চলগুলো আইএস-এর দখলে ছিল অভিযান চালিয়ে সেখান থেকে কার্যত মেরে তাড়িয়েছে ইরাকি সেনারা। মসুল-সহ ইরাকের উত্তর এবং পশ্চিমের বেশির ভাগটাই আইএস-এর দখলে। এক দিকে ইরাকি সেনার অভিযান, অন্য দিকে, আকাশ পথে সিরিয়ার হামলা— এই দুই অভিযানে ইরাককে আইএস দখলমুক্ত করার চেষ্টা চলছে। গত সপ্তাহেই আইএস-এর শক্ত ঘাঁটি ফালুজা দখল করে নেয় ইরাকি সেনারা। তার পরই হুমকি আসতে থাকে প্রতিশোধ নেওয়ার। একের পর এক নিজেদের ঘাঁটি হারিয়ে প্রায় কোণঠাসা হতে চলা আইএস নিজেদের অস্তিত্বকে বোঝাতে কারাদায় ব্যস্ত বাজারে রবিবার জোরাল বিস্ফোরণ ঘটালো।
২০১৬-য় এখনও পর্যন্ত যতগুলো হামলা হয়েছে বাগদাদে—
৯ জুন: দু’টি আত্মঘাতী হামলায় বাগদাদে নিহত কমপক্ষে ৩০।
১৭ মে: পর পর চারটি বোমা বিস্ফোরণ। নিহত ৬৯।
১১ মে: গাড়ি বোমা বিস্ফোরণে নিহত ৯৩।
১ মে: দু’টি গাড়ি বোমা বিস্ফোরণে সামাওয়াতে নিহত ৩৩।
২৬ মার্চ: ইস্কামদারিয়া শহরে ফুটবল ম্যাচে আত্মঘাতী হামলা। নিহত ৩২।
৬ মার্চ: হিল্লার চেক পয়েন্টে আত্মঘাতী হামলা। নিহত ৪৭।
২৮ ফেব্রুয়ারি: সদর শহরে পর পর আত্মঘাতী হামলা। নিহত ৭০।
আরও খবর...