মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। — ফাইল চিত্র।
আরও দুই দেশের মধ্যে শান্তিচুক্তির সাক্ষী থাকলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। মালয়েশিয়া আসিয়ান সম্মেলনের ফাঁকে রবিবার তাইল্যাল্ড এবং কম্বোডিয়ার মধ্যে সংঘর্ষবিরতি চুক্তি স্বাক্ষরিত হল। ট্রাম্পের উপস্থিতিতেই স্বাক্ষর হল এই চুক্তি।
তাইল্যান্ড এবং কম্বোডিয়ার মধ্যে বিরোধ দীর্ঘ দিনের। তবে চলতি বছরে সেই বিরোধ চরমে ওঠে। দুই দেশের সামরিক বাহিনী একে অপরের বিরুদ্ধে আক্রমণ শানায়। সেই আবহে ট্রাম্প দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দুই দেশের মধ্যে শান্তিপ্রতিষ্ঠার চেষ্টা শুরু করেন। সেই চেষ্টা অবশেষে সফল হল। রবিবারই মালয়েশিয়া পৌঁছোন ট্রাম্প। তার পরেই দুই দেশের শীর্ষ নেতৃত্বকে পাশে বসিয়ে শান্তিচুক্তি স্বাক্ষরিত করান তিনি। তাঁর কথায়, ‘‘এই দিনটা দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার সকল মানুষের জন্য গুরুত্বপূর্ণ।’’
বিতর্কিত ‘পান্না ত্রিভুজ’-এর দখলদারি নিয়ে দীর্ঘ দিন ধরে টানাপড়েন চলছে ব্যাঙ্কক-নম পেনের মধ্যে। তাইল্যান্ড, কম্বোডিয়া এবং আর এক পড়শি দেশ লাওসের সীমান্তবর্তী ওই ভূখণ্ডের দখল নিয়ে ১৯৬২ সালে আন্তর্জাতিক আদালত (ইন্টারন্যাশনাল কোর্ট অফ জাস্টিস বা আইসিজে) যে রায় দিয়েছিল, তা অনেকটা কম্বোডিয়ার পক্ষেই গিয়েছিল। কিন্তু চলতি বছরের মে মাসে কম্বোডিয়া সেনা সেখানে শিবির ও পরিখা নির্মাণের তৎপরতা শুরু করার পরে নতুন করে উত্তেজনা শুরু হয়। সরাসরি সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে তাইল্যান্ড এবং কম্বোডিয়া— দুই দেশের সেনাবাহিনী।
গত জুলাইয়ে সেই সংঘর্ষ চরমে ওঠে। দু’দেশের অনেকেই প্রাণ হারান। সীমান্তবর্তী এলাকা ছেড়ে পালানো শুরু করেন অনেকে। তখন ট্রাম্প দু’দেশকে হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছিলেন, তারা যদি সংঘর্ষ বন্ধ না-করে, তবে কারও সঙ্গেই আর আমেরিকা বাণিজ্যচুক্তিতে যাবে না। সেই সময় দুই দেশের মধ্যে সংঘর্ষবিরতির জন্য উদ্যোগী হন ট্রাম্প। দু’দেশের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলে সংঘর্ষ থামার ইঙ্গিত দিয়েছিলেন। কিন্তু শেষপর্যন্ত তা কার্যকর হয়নি। এত দিনে তা কার্যকর হল।