Germany

ট্র্যাফিক জ্যাম থেকে রেহাই পেতে রোজ সাঁতরে অফিসে যান ইনি!

এর আগে বেঞ্জামিন মিউনিখের অন্যান্য বাসিন্দাদের মতোই অফিসে যেতেন গাড়িতে বা সাইকেলে চেপে। কিন্তু একটা সময় প্রতিনিয়ত জ্যাম বিরক্তির কারণ হয়ে ওঠে তাঁর কাছে। এর পর থেকে তিনি অফিসে যাওয়ার একটি বিকল্প পথের কথা চিন্তা করতে শুরু করেন। শেষ অবধি তিনি বেছে নেন সাঁতরে অফিসে যাওয়ার উপায়।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

শেষ আপডেট: ১০ অগস্ট ২০১৭ ১১:৫৬
Share:

সাঁতরেই অফিস যান বেঞ্জামিন।

প্রাত্যহিক জীবনের এক মস্ত সমস্যা ট্রাফিক জ্যাম। আর এটি যদি হয় অফিস যাওয়ার সময়, তবে ঠিক কেমন অভিজ্ঞতা হয়, তা প্রায় আমাদের সবারই জানা। পৃথিবীর বহু শহরেই জ্যামের কারণে মারাত্মক সমস্যায় পড়তে হয় সাধারণ মানুষকে। সমস্যা এড়াতে অনেকেই বেছে নেন বিভিন্ন উপায়। কিন্তু বেঞ্জামিন যে উপায় নিলেন, তা একেবারেই অভিনব।

Advertisement

জার্মানির মিউনিখেও ট্র্যাফিক জ্যামের কারণে ঘণ্টার পর ঘণ্টা রাস্তায় আটকে থাকতে হয় সেখানকার বাসিন্দাদের। সমস্যা হয় বছর চল্লিশের বেঞ্জামিন ডেভিডেরও। আর তা থেকে বাঁচতে এমন পন্থা নিলেন, যার ফলে একেবারে খবরের শিরোনামে চলে এলেন। জ্যাম থেকে বাঁচতে সকালে সরাসরি তিনি ঝাঁপ দেন ইসার নদীতে। এর পর দুই কিলোমিটার সাঁতরে চলে যান কালটারস্ট্রান্ডে তাঁর অফিসে।

আরও পড়ুন: সহজতম এই ধাঁধাঁটি সমাধান করতে কালঘাম ছুটছে সকলের, কেন?

Advertisement

এর আগে বেঞ্জামিন মিউনিখের অন্যান্য বাসিন্দাদের মতোই অফিসে যেতেন গাড়িতে বা সাইকেলে চেপে। কিন্তু একটা সময় প্রতিনিয়ত জ্যাম বিরক্তির কারণ হয়ে ওঠে তাঁর কাছে। এর পর থেকে তিনি অফিসে যাওয়ার একটি বিকল্প পথের কথা চিন্তা করতে শুরু করেন। শেষ অবধি তিনি বেছে নেন সাঁতরে অফিসে যাওয়ার উপায়।

আরও পড়ুন: ঘোরার ছবি ফোটোশপ করে ট্রোলড, তা থেকেই স্বপ্নপূরণ

ইসার নদীটি বেঞ্জামিনের অ্যাপার্টমেন্টের কাছেই। যার জেরে খুব সহজেই এই নদীতে সাঁতার কেটে অফিস যাওয়ার কথা মাথায় আসে তাঁর। যদিও নদীটি যাতায়াতের জন্য তেমন ব্যবহৃত হত না। গত দু’বছর ধরে সাঁতরেই অফিসে যাচ্ছেন বেঞ্জামিন। প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র নেওয়ার জন্য তিনি ব্যবহার করেন এমন একটি বিশেষ ব্যাগ যা ভেজে না। এই ব্যাগটিকে বন্ধ করলে এর মধ্যে হাওয়া আটকা পড়ে, যার কারণে এর উপর ভর করে অনায়াসেই ভেসেও থাকা যায়। দীর্ঘ সময় ধরে সাঁতার কাটার পর বেঞ্জামিন যখন ক্লান্ত বোধ করে তখন ব্যাগটির উপর ভর করে জিরিয়ে নেন কিছুক্ষণ।

সাঁতরে অফিসে পৌঁছাতে বেঞ্জামিনের সাধারণত সময় লাগে আধ ঘণ্টা। গন্তব্যে পৌঁছনোর পর তিনি গা মুছে টি-শার্ট পরে চলে যান অফিসে। বেঞ্জামিন জানিয়েছেন, যে সময়ের মধ্যে অফিসে পৌঁছে যান, সে সময় তাঁর সহকর্মীরাও পৌঁছন না।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন