International News

উচ্চশিক্ষা, চাকরির অফার না থাকলে আর মার্কিন অভিবাসন মিলবে না?

দেশের আন্তর্জাতিক সীমান্তকে আরও নিরাপদ করে তুলতে ও মার্কিন অর্থনীতির উপর অনুপ্রবেশের বোঝা হাল্কা করতে বৃহস্পতিবার যে নতুন অভিবাসন পরিকল্পনার খসড়া প্রকাশ করবেন আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প, তাতে এই বিষয়গুলিকেই গুরুত্ব দেওয়া হবে বলে হোয়াইট হাউস সূত্রে খবর।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

ওয়াশিংটন শেষ আপডেট: ১৬ মে ২০১৯ ১৫:০৬
Share:

ছবি-এপি।

বলতে হবে ঝরঝরে ইংরেজি। উচ্চশিক্ষিত হতে হবে। আর হাতে থাকতে হবে মার্কিন মুলুকে চাকরির অফার। ঝুলিতে এই সব না থাকলে আর চট করে আমেরিকায় পাড়ি জমানোর জন্য প্রয়োজনীয় ভিসা পাওয়া যাবে না। গ্রিন কার্ড পাওয়া তো দূর অস্তই।

Advertisement

দেশের আন্তর্জাতিক সীমান্তকে আরও নিরাপদ করে তুলতে ও মার্কিন অর্থনীতির উপর অনুপ্রবেশের বোঝা হাল্কা করতে বৃহস্পতিবার যে নতুন অভিবাসন পরিকল্পনার খসড়া প্রকাশ করবেন আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প, তাতে এই বিষয়গুলিকেই গুরুত্ব দেওয়া হবে বলে হোয়াইট হাউস সূত্রে খবর।

ওই খসড়া তৈরির ব্যাপারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের তিন অন্যতম প্রধান উপদেষ্টা জামাই জারেড কুশনার, স্টিফেন মিলার ও অর্থনীতিক কেভিন হ্যাসেটের। ট্রাম্প প্রশাসনের এক শীর্ষ স্তরের কর্তা জানিয়েছেন, যাতে সেই খসড়া কংগ্রেসের দুই কক্ষ সেনেট ও হাউস অফ রিপ্রেজেন্টেটিভসে পাশ করাতে অন্তত রিপাবলিকান পার্টির সব সদস্যেরই সমর্থন জোগাড় করা যায়, সে দিকে লক্ষ্য রেখেই তা বানানো হয়েছে। এখনও পর্যন্ত প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের নতুন অভিবাসন পরিকল্পনার পথে বিভিন্ন সময়ে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছেন কংগ্রেসের রিপাবলিকান সদস্যদেরই একটি অংশ।

Advertisement

আরও পড়ুন- ইরান সঙ্কট: ইরাক থেকে কর্মী সরাচ্ছে আমেরিকা

আরও পড়ুন- চিনের পাল্টায় ট্রাম্প অনড়ই, আশঙ্কা ভারতের​

তবে রিপাবলিকান পার্টিরই একটি সূত্রের বক্তব্য, এর পরেও প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের নতুন অভিবাসন পরিকল্পনার খসড়া মার্কিন কংগ্রেসে পাশ হবে কি না, তা নিয়ে সংশয় রয়েছে। কিন্তু এই পরিকল্পনা রিপাবলিকান পার্টির সদস্যদের কাছে সংশ্লিষ্ট বিষয়ে ট্রাম্পের চিন্তাভাবনা স্পষ্ট করে তুলতে পারবে, যা আগামী বছরের নভেম্বরে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ও কংগ্রেসের নির্বাচনে ট্রাম্পের দলের নেতাদের অবস্থানে একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেবে। আমেরিকায় আগামী প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে অভিবাসনই সবচেয়ে বড় ইস্যু হতে চলেছে বলে মার্কিন বিশেষজ্ঞদের একাংশের ধারণা।

দশকের পর দশক ধরে মার্কিন মুলুকে অভিবাসনের ক্ষেত্রে বড় ভূমিকা নিয়েছে পরিবারভিত্তিক অভিবাসন। এখনও আমেরিকায় যাঁরা গ্রিন কার্ড পান প্রতি বছর, তাঁদের দুই-তৃতীয়াংশকেই সেই কার্ড দেওয়ার ক্ষেত্রে পারিবারিক বিষয়টিই অগ্রাধিকার পায়। মানে, যাঁর কোনও আত্মীয় দীর্ঘ দিন ধরে রয়েছেন মার্কিন মুলুকে, অন্য দেশে থাকা তাঁদের পরিবারের সদস্যদের মার্কিন অভিবাসন পাওয়াটা সহজতর হয়।

প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের পরিকল্পনা, এখনও বছরে যে ১১ লক্ষ মানুষকে ফিবছর মার্কিন মুলুকে অভিবাসন দেওয়া হয়, তার খুব একটা অদলবদল করা হবে না। তবে সেই অভিবাসনের ক্ষেত্রে পরিবারকে আর ততটা অগ্রাধিকার দেওয়া হবে না। পরিবার এখন যে অগ্রাধিকার পায়, এ বার পাবে তার এক-তৃতীয়াংশ। পক্ষান্তরে, দক্ষ ও উচ্চশিক্ষিত, যাঁদের হাতে মার্কিন মুলুকে চাকরির অফার রয়েছে, তাঁদের ছেলেমেয়ে বা পরিবারের অন্য সদস্যদের মার্কিন মুলুকে অভিবাসনের অধিকার দেওয়ার ক্ষেত্রে অগ্রাধিকার দেওয়া হবে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন