—প্রতিনিধিত্বমূলক চিত্র।
সুনামির জেরে বিপর্যস্ত জাপানের বেশ কিছু এলাকা। বিশেষত, প্রশান্ত মহাসাগরীয় উপকূলবর্তী এলাকায় সুনামির তেজ বেশি বলে জানাচ্ছে জাপানের আবহাওয়া সংস্থা। যদিও ঢেউয়ের উচ্চতা ভয়ঙ্কর আকার নেয়নি।
বুধবার (ভারতীয় সময়) রাশিয়ার পূর্ব কামচাটকা উপদ্বীপ এলাকা কেঁপে ওঠে জোরালো ভূমিকম্পে। রিখটার স্কেলে কম্পনের মাত্রা ছিল ৮.৮। সেই ভূমিকম্পের পরেই সুনামি আছড়ে পড়ে রাশিয়ায়। শুধু রাশিয়া নয়, সুনামির ফলে দুর্যোগের চেহারা নিয়েছে জাপানের অনেক এলাকা। এ ছাড়াও, চিন, পেরু ও ইকুয়েডরের মতো দেশগুলিতেও সুনামির সতর্কতা জারি করা হয়েছে।
জাপানের আবহাওয়া সংস্থার তথ্য অনুযায়ী, ইশিনোমাকি বন্দরে সুনামির প্রভাব সবচেয়ে বেশি। প্রশান্ত মহাসাগরীয় উপকূল বরাবর সুনামি দক্ষিণে সরে যাওয়ায় আরও ১৬টি জায়গায় ঢেউ আছড়ে পড়েছে।
বুধবার সকাল (স্থানীয় সময়) থেকে জাপানের উপকূলবর্তী এলাকার কিছু এলাকায় সুনামি আছড়ে পড়তে শুরু করেছে। উপকূলীয় অঞ্চল থেকে বাসিন্দাদের সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। ইতিমধ্যেই ন’লক্ষ মানুষকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিয়ে গিয়েছে প্রশাসন। জাপানের প্রধানমন্ত্রী শিগেরু ইশিবা জানিয়েছেন, তিনি পরিস্থিতির উপর নজর রাখছেন। পরিস্থিতি মোকাবিলা করার জন্য একটি জরুরি কমিটিও গঠন করেছে জাপান সরকার।
সুনামির সতর্কতার কারণে ব্যাহত হয়েছে জাপানের পরিবহণ পরিষেবা। রাস্তায় অন্য দিনের তুলনায় যানবাহন অনেক কম। জাপানের হোনশু দ্বীপের উত্তর প্রান্তে হোক্কাইডো এবং আওমোরির মধ্যে ফেরি চলাচল স্থগিত রাখা হয়েছে। শুধু তা-ই নয়, রাজধানী টোকিও এবং নিকটবর্তী দ্বীপপুঞ্জের সঙ্গে সংযোগকারী ফেরিগুলিও সাময়িক ভাবে বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে স্থানীয় প্রশাসন।
শুধু ফেরি চলাচল নয়, ট্রেন এবং বিমান পরিষেবাও ব্যাঘাত ঘটেছে। জাপানের বেশ কয়েকটি রুটে ট্রেন চলাচল বন্ধ। কিছু রুটে নির্ধারিত সময়ের তুলনায় দেরি ট্রেন চলছে। দুর্যোগের সতর্কতার কারণে সেন্দাই বিমানবন্দরে বিমান চলাচলও সাময়িক ভাবে স্থগিত করা হয়েছে।