বানা আলাবেদ। ছবি: টুইটার।
সাত বছরের একটা মেয়ে। ডোনাল্ড ট্রাম্পের উদ্দেশে ঠিক দু’লাইনের একটা ছোট্ট ভিডিও বার্তা তার। টুইটারে এসেই সে বার্তা সাড়া ফেলে দিয়েছে গোটা বিশ্বে।
বানা আলাবেদ থাকে যুদ্ধবিধ্বস্ত সিরিয়ার ততোধিক বিধ্বস্ত শহর আলেপ্পোতে। সাত বছরের বানা আলাবেদ নিজে টুইটার ব্যবহার করতে পারে না। মা ফাতেমার সাহায্য নিয়ে টুইটারে বিচরণ তার। আমেরিকায় শরণার্থীদের প্রবেশে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প নিষেধাজ্ঞা জারি করার পর বানা ভিডিও বার্তাটি টুইট করেছে। সিরীয় ভাষায় নয়, ইংরেজিতেই কথা বলতে শোনা গিয়েছে সিরীয় বালিকাকে। ট্রাম্পকে সম্বোধন করে সে বলছে, ‘‘আপনি কি কখনও খাবার ছাড়া, জল ছাড়া ২৪ ঘণ্টা কাটিয়েছেন? শরণার্থী আর সিরীয় শিশুদের কথা একটু ভাবুন।’’
" & ? & "
বানা আলাবেদের এই টুইট বিপুল সাড়া ফেলেছে বিশ্ব জুড়ে। যে ভাবে শরণার্থীদের মুখের উপর আমেরিকার দরজা বন্ধ করে দিয়েছেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প, তাতে মানবতার সঙ্কট তৈরি হয়েছে, বলছে বিশ্ব জনমত। বানার ভিডিও বার্তা সেই বাস্তবটাকে আরও স্পষ্ট করে ফুটিয়ে তুলেছে। সন্ত্রাসবাদীদের আমেরিকা প্রবেশ রোখার অজুহাতে সাতটি মুসলিম প্রধান দেশের নাগরিকদের আমেরিকায় ঢোকা বন্ধ করে দিয়েছেন ট্রাম্প। শরণার্থীদের আর আশ্রয় দেওয়া হবে না বলেও জানিয়ে দিয়েছেন। কিন্তু বানা আলাবেদের মতো নিরীহদের কী হবে? তাদের কি যুদ্ধবিধ্বস্ত সিরিয়ায় ফেলে রেখে মৃত্যুর প্রহর গুণতে বাধ্য করা হবে? ভিডিওটা আরও এক বার এই প্রশ্ন তুলে দিয়েছে।
আরও পড়ুন: ট্রাম্পের মুলুকে এক মুসলিম দেশ থেকে ‘অভিবাসী’ এই সরস্বতী!
ট্রাম্পের উদ্দেশে আলেপ্পোর এই ছোট্ট মেয়েটার টুইট অবশ্য প্রথম বার নয়। আগেও ট্রাম্পকে টুইটারে প্রশ্ন করেছে সে। সাতটি মুসলিম প্রধান দেশের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করে ট্রাম্প জানিয়েছিলেন, খারাপ লোকেদের আমেরিকার বাইরে রাখতেই এই ব্যবস্থা। বানা তখনও ট্রাম্পকে প্রশ্ন করেছিল, ‘‘আমি কি সন্ত্রাসবাদী?’’ প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের তরফ থেকে কোনও জবাব আসেনি। এ বারও হয়তো আসবে না। কিন্তু বানা উত্তরের অপেক্ষাতেই রয়েছে।